আ.লীগ প্রার্থীর সহায়তা চাইলেন বিএনপি প্রার্থী

অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে প্রচার, গণসংযোগ ও ভোটের দিনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সহযোগিতা চাইলেন মৌলভীবাজার-৪ আসনে (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল) বিএনপির প্রার্থী হাজি মুজিবুর রহমান চৌধুরী। এ আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী চার প্রার্থীকে নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার কমলগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সেখানেই তিনি এ কথা বলেন।

এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী চার প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম এ শহীদ, বিএনপির প্রার্থী হাজি মুজিবুর রহমান চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী (হাতপাখা) মাওলানা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন অনুষ্ঠানে থাকলেও গণফোরামের প্রার্থী শান্তিপদ ঘোষ (সূর্য) ছিলেন না।

অনুষ্ঠানে সুজন কমলগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি নীহারেন্দু হোম ভট্টাচার্যের সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।

শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন সুজন কমলগঞ্জ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাবেয়া খাতুন। লটারির মাধ্যমে প্রথমে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম এ শহীদসহ পর্যায়ক্রমে উপস্থিত বাকি দুই প্রার্থী নির্বাচনে বিজয়ী হলে বা না হলে কে কী করবেন, সে সম্পর্কে নির্ধারিত পাঁচ মিনিট বক্তব্য দেন। তিন প্রার্থী নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, যুবসমাজসহ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জাতীয়ভাবে কী করবেন, তা উঠে আসে তাঁদের বক্তব্যে। চা–বাগান অধ্যুষিত নির্বাচনী এলাকা বলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী চা শিল্পাঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারে তাঁদের করণীয় বিষয়েও বক্তব্য দেন।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম এ শহীদ (নৌকা) বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে শমশেরনগর বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ বেসামরিক বিমান সার্ভিস চালু, যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন, যুবসমাজের কর্মসংস্থানের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

দ্বিতীয় বক্তা হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী (হাতপাখা) মাওলানা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন বলেন, ইসলামী অনুশাসনে রাষ্ট্র পরিচালিত হলে ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্ট—সব ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে। দেশকে মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত করে গড়ে তোলা যাবে।

সবশেষে বিএনপির প্রার্থী (ধানের শীষ) হাজি মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ক্ষমতাবান আওয়ামী লীগ প্রার্থী চাইলে নির্বাচনী প্রচারণা ও ভোটের দিনের শান্তি, শৃঙ্খলা ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবেন। তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে যুবসমাজের কর্মসংস্থানের জন্য নির্বাচনী এলাকায় কলকারখানা গড়ে তুলবেন। চা–বাগানে শিক্ষার বিস্তারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন। ক্ষুদ্র ও নৃগোষ্ঠীসহ চা–শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নয়নে কাজ করবেন। কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ-মৌলভীবাজার সড়ক উন্নয়নেও কাজ করবেন।

পরে উপস্থিত ভোটারদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন উপস্থিত তিন প্রার্থী। সবশেষে সুষ্ঠু নির্বাচনে নীতিমালা মেনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে তিন প্রার্থী হাতে হাত ধরে উঁচু করে অঙ্গীকার করেন। মুখোমুখি অনুষ্ঠানে সুজন মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জহরলাল দত্ত, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসাদ্দেক আহমদসহ নানা পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।