সাকির প্রচারে আবারও বাধা

জোনায়েদ আবদুর রহিম সাকি
জোনায়েদ আবদুর রহিম সাকি

রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে আবারও বাধা সম্মুখীন হয়েছেন বাম জোটের প্রার্থী। দলটির অভিযোগ, আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তেজগাঁও কলেজের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ আবদুর রহিম সাকির প্রচারণা মিছিলে সাত–আটজন যুবক লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে।

এর আগে প্রচারণা শুরুর দিন গত মঙ্গলবার কারওয়ান বাজার এলাকায় পোস্টার লাগাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছিল দলটি। সার্বিক বিষয় অবহিত করে দলের পক্ষ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়েছে।

ঢাকা-১২ আসনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের হয়ে জোনায়েদ সাকি এ আসনে কোদাল প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন। জোনায়েদ সাকির প্রচারণা মিছিলে উপস্থিত একাধিক নেতা–কর্মী অভিযোগ করেন, তেজগাঁও কলেজের পাশের গলিতে প্রচারণা চালানোর সময় হঠাৎ ছাত্রলীগের সাত–আটজন নেতা–কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে পেছন থেকে ধাওয়া দেয়। এ সময় গণসংহতির কর্মীরা বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।

অবশ্য ছাত্রলীগ বলছে, তারা হামলায় নয়, বরং তাদের কয়েকজন নেতা-কর্মী হামলা থামাতে গিয়েছিলেন।

গণসংহতি আন্দোলনের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিক রেজা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা মিছিল করে কলেজের পাশের গলিতে ঢুকছিলাম। এমন সময় হঠাৎ করে তারা আক্রমণ করে। আমাদের ফেস্টুন ভেঙে ফেলে, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে। পরে সাকি ভাই এগিয়ে আসার পর ওদের কয়েকজন সিনিয়র এসে দুঃখ প্রকাশ করেছে।’ হামলাকারীরা সবাই ছাত্রলীগের নেতা–কর্মী বলে অভিযোগ করেন তিনি।

জানতে চাইলে তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রবিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সব সময় ছাত্রলীগকে দোষারোপ করা হয়। আমাদের সঙ্গে এমন কোনো ঘটনা তাদের ঘটেনি। বরং দ্বিতীয় বর্ষের কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাদের তর্কাতর্কি হচ্ছিল, আমাদের কয়েকজন গিয়ে তাদের নিবৃত্ত করেছে।’ কেন কথা–কাটাকাটি হচ্ছিল, জানতে চাইলে রবিন বলেন, ‘আমি গিয়ে কাউকে পাইনি। শুনেছি, ছেলেরা পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার সময় কারও গায়ে ধাক্কা লেগেছে। তিনিও বাজে ব্যবহার করেছেন।’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রথম আলোকে বলেন, ‘পরিস্থিতিটা এমন করে ফেলা হচ্ছে, কোনো জায়গাতেই প্রচারণা চালানো যাবে না। আমাদের ফেস্টুনগুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে, পোস্টার পুড়িয়ে দিচ্ছে। পরিস্থিতিটা এমন করা হচ্ছে, এখানে সরকারদলীয় ছাড়া আর কোনো প্রার্থী নেই। একই সঙ্গে একটা ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে, যাদে ভোটাররা আতঙ্কে ভোট দিতেন না আসেন। এভাবে আরেকটি একতরফা নির্বাচনের দিকে যেতে চায় সরকার।’