সরকার আর চায় না যে নির্বাচন হোক: মির্জা ফখরুল

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া ৬ আসনে ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নির্বাচনী কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শহীদ টিটু মিলনায়তন, বগুড়া, ১৪ ডিসেম্বর। ছবি: সোয়েল রানা
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া ৬ আসনে ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নির্বাচনী কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শহীদ টিটু মিলনায়তন, বগুড়া, ১৪ ডিসেম্বর। ছবি: সোয়েল রানা

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার আর চায় না যে নির্বাচন হোক। কারণ, তারা জেনে গেছে, জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।

আজ শুক্রবার বগুড়া-৬ (সদর) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে কর্মিসভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, সারা দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব সরকারের হাতে। সারা দেশে ধানের শীষের কর্মী-সমর্থকদের হামলা করে, মামলা করে অরাজক পরিস্থিত তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তিনি কথা দিয়েছিলেন, তফসিল ঘোষণার পর অন্যায়ভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না। তিনি কথা রাখেননি। এখন সারা দেশে বিএনপির প্রার্থী ও কর্মীদের মাঠে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। আমার ওপর হামলা হয়েছে। অন্যান্য প্রার্থীর ওপর হামলা লেগেই আছে। আজকেও ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনসহ অন্যান্য নেতার ওপর হামলা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেলা ১১টায় বগুড়া শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে কর্মিসভার মধ্য দিয়ে তাঁর দুই দিনের নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচি শুরু করেছেন। সভার শুরুতেই সভাপতির আসনে বসা নিয়ে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের একটি অংশের মধ্যে ব্যাপক হট্টগোল শুরু হয়। তাঁরা বিএনপির জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতির চেয়ারে বসার বিরোধিতা করে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে সাইফুল মাইক্রোফোনে ঘোষণা দেন, তিনি সভাপতিত্ব করবেন না। তাঁর বদলে সভাপতিত্ব করবেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র এ কে এম মাহবুবর রহমান।

মির্জা ফখরুল কর্মী–সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তাঁর বক্তব্য বলেন, আমাদের সামনে এখন কঠিন চ্যালেঞ্জ। বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নেত্রী কারাগারে। নেতা দেশের বাইরে। আমি এখানে ধানের শীষের প্রার্থী হয়ে আসিনি। নেত্রীর প্রতিনিধি হয়ে এসেছি। নেত্রী কারাগারে অসুস্থ অবস্থায় দুঃসহ জীবন যাপন করছেন। তাঁকে মুক্ত করতে হলে আপনাদের সামনে কোনো পথ খোলা নেই। নিজেদের মধ্যে কোন্দল রাখলে কোনো আসনে জেতার সম্ভাবনা নেই বলেও সতর্ক করেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ধানের শীষের প্রার্থীকে জেতানো ছাড়া সামনে কোনো পথ খোলা নেই। ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে বুকে চেপে বসা দজ্জাল সরকারকে সরাতে হবে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার জন্মভিটা বগুড়া। খালেদা জিয়া এই বগুড়ার পুত্রবধূ। প্রতিটি নির্বাচনে তিনি এখানে প্রার্থী হন। ধানের শীষ নিয়ে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছুটে বেড়ান। এবার সরকার তাঁকে অন্যায়ভাবে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে, ফরমায়েশি সাজা দিয়ে কারাগারে আটকে রেখেছে। সরকার বুঝতে পেরেছে খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে তাদের কোথাও জেতার সম্ভাবনা নেই।