মাঠে নাদিম মোস্তফা, প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আশায় নজরুল

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া–দুর্গাপুর) আসনে এখনো বিএনপির প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আশায় আছেন চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েও প্রার্থীতা বাতিল হওয়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি নজরুল ইসলাম। বিএনপিকে বিভক্ত করতে সরকারের ষড়যন্ত্রেই চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়ার পরও তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপির এ নেতা। তাই নিজের প্রার্থিতা ফিরে পেতে তিনি এখন আইনগত দিকগুলো খতিয়ে দেখছেন বলে জানান।
এদিকে পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসনে নজরুল ইসলামের প্রার্থিতা বাতিলের পর বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে এখন মাঠে নেমেছেন সাবেক সাংসদ নাদিম মোস্তফা। প্রতীক পাওয়ার পরপরই তিনি নেতা-কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি পুঠিয়ার বানেশ্বর বাজারে গণসংযোগ করেছেন।
উপজেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনের সময় আইনি জটিলতায় নাদিম মোস্তফা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। তখন নজরুল ইসলাম বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি সেবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদের কাছে পরাজিত হন। এবারও আইনি জটিলতা দেখিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা নাদিম মোস্তফার মনোনয়ন বাতিল করেন। এ সময় নজরুল ইসলাম বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান। ৯ ডিসেম্বর সকালে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এদিকে হাইকোর্ট থেকে নাদিম মোস্তফার পক্ষে রায় দেওয়ায় নাদিম মোস্তফা দলের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃতি পান।
এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, সরকার ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে বিভক্ত করতেই নাদিম মোস্তফাকে চূড়ান্ত প্রার্থী করেছে।
পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিনুল হক গতকাল বলেন, নজরুল ইসলামের ভাই দুবার এ আসনের সাংসদ ছিলেন। অবশ্যই তাঁদের এখানে রাজনৈতিক অবস্থান রয়েছে। তবে দল যাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে, তাঁরা তাঁর জন্যই মাঠে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে নাদিম মোস্তফার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।