নাদিম মোস্তফাকে ধাওয়া, বিএনপি কার্যালয়ে হামলা

নাদিম মোস্তফা
নাদিম মোস্তফা

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী নাদিম মোস্তফা গতকাল শুক্রবার রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্রচারণা চালাতে গেলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে ধাওয়া করেন। এ সময় নাদিম মোস্তফা পালিয়ে কোনোমতে রাজশাহী শহরে চলে আসেন। পরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দুর্গাপুরের জয়নগর ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয় ও দাউকান্দি ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর এবং একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল দুপুরে জয়নগর ইউনিয়নের কানপাড়া ও দাউকান্দি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জয়নগর ইউনিয়নের কানপাড়া বাজারে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নাদিম মোস্তফার প্রচারণা চালানোর খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে গিয়ে তাঁকে ধাওয়া করেন। পরে নাদিম মোস্তফা সেখান থেকে মাড়িয়া ইউনিয়ন হয়ে রাজশাহী শহরে ফিরে আসেন। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দুর্গাপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইদুর মন্টু ও ইউপি সদস্য খবির উদ্দীনের দুটি মোটরসাইকেল পেয়ে সেগুলো ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। পরে তাঁরা সেখানে বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয়ের ভেতরে রাখা দলীয় পোস্টার, ব্যানার ও প্লাস্টিকের চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করেন।
এ বিষয়ে নাদিম মোস্তফা মুঠোফোনে বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মজিদ সরদারের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। তবে তারা আমাকে ধাওয়া করেনি। আমি জয়নগরে গণসংযোগ করে মাড়িয়া ইউনিয়নে যাওয়ার পর হামলা হয়েছে বলে শুনেছি। তারা সাইদুর মন্টু ও খবির উদ্দীনের দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করা হবে।’
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মজিদ সরদার বলেন, ‘নাদিম মোস্তফা একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। জঙ্গিবাদের মদদদাতা। তিনি এলাকায় ঢুকছেন বলে খবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ লোকজন তাঁকে ধাওয়া করে। পরে নাদিম মোস্তফা পালিয়ে যান। ওই সময় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী কিছু ভাঙচুর করেছে বলে শুনেছি। তবে আমি সেখানে ছিলাম না।’
দুর্গাপুর থানার ওসি আবদুল মোত্তালেব বলেন, ‘ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগের কোনো অভিযোগ পাইনি।’