চট্টগ্রামে ৮৮৪ বৈধ অস্ত্রের খোঁজ নেই

>

• চট্টগ্রামে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের আশঙ্কা করছে পুলিশ
• গত মাসে ৮৮৪ জন বৈধ অস্ত্রধারীর ঠিকানায় গিয়ে হদিস পায়নি পুলিশ

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের আশঙ্কা করছে পুলিশ। গত মাসে ৮৮৪ জন বৈধ অস্ত্রধারীর ঠিকানায় গিয়ে হদিস পায়নি পুলিশ।

জেলা প্রশাসনের আগ্নেয়াস্ত্র শাখা সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম নগরে বর্তমানে বৈধ অস্ত্রের সংখ্যা ২ হাজার ৫৭৭। এর মধ্যে ৮৮৪টি অস্ত্রের কোনো খোঁজ পায়নি পুলিশ। এই অস্ত্রধারীদের খোঁজা হচ্ছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ঠিকানা বদল হওয়ায় কিংবা অন্যত্র চলে যাওয়ায় হয়তো অনেক অস্ত্রধারীকে পাওয়া যায়নি। নির্বাচন কমিশন বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা জারি করলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানার ডিসি রোডের বাসিন্দা মো. মুছা। তাঁর নামে একটি শটগান ও পাঁচটি গুলি বরাদ্দ আছে। গত মাসে বাকলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজ উদ্দিন তাঁর ঠিকানায় গিয়ে পাননি। স্থানীয় বাসিন্দারাও তাঁকে চেনেন না। গত মাসে জেলা প্রশাসনের আগ্নেয়াস্ত্র শাখায় জমা দেওয়া প্রতিবেদনে পুলিশ এ তথ্য দিয়েছে। মুছার মতো নগরের পাঁচলাইশ থানার আমিরবাগ এলাকার মিজানুর রহমানকে গিয়ে তাঁর ঠিকানায় পায়নি পুলিশ। এ রকম ৮৮৪ জন বৈধ অস্ত্রধারীকে তাঁদের ঠিকানায় গিয়ে পায়নি পুলিশ। বৈধ অস্ত্রধারীর খোঁজ না পাওয়ার এমন ঘটনা শুধু পাঁচলাইশ থানাতেই ১১১টি।

নগর পুলিশের বিশেষ শাখার উপকমিশনার আবদুল ওয়ারীশ প্রথম আলোকে বলেন, ঠিকানা বদল হওয়ায় হয়তো পাওয়া যাচ্ছে না। এগুলো যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে। তবে নির্বাচনে এর কোনো প্রভাব থাকবে না।

বেড়েছে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার
চট্টগ্রামে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার বেড়েছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় পার পাইয়ে গেছেন অস্ত্রধারীরা। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নানা কারণে এবারের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বৈধ অস্ত্র থানায় জমা নেওয়া প্রয়োজন। না হলে নির্বাচনের মাঠে কিংবা প্রচারের সময় সংঘাতে অস্ত্র ব্যবহার হলে সেই অস্ত্র বৈধ না অবৈধ, তা শনাক্ত করা কঠিন হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ৮৮৪ বৈধ অস্ত্রধারীর হদিস না পাওয়া বিস্ময়কর। পুলিশকে গুরুত্ব দিয়ে অস্ত্র ও অস্ত্রধারীরা কোথায়, তা বের করা উচিত। নইলে নির্বাচনে এগুলোর অপব্যবহার হতে পারে। অতীতে বৈধ ও অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে। এ জন্য নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্রগুলো থানায় জমা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।