জাতীয় পার্টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আ.লীগের নেতা-কর্মীরা

ফরিদুল হক খান, মোস্তফা আল মাহমুদ
ফরিদুল হক খান, মোস্তফা আল মাহমুদ

জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদকে নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। আওয়ামী লীগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সমানতালে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই আসনের গ্রামে গ্রামে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের অনেক নেতা–কর্মীর ধারণা, জাতীয় পার্টি মাঠে থাকায় তাঁদের কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া এই আসনে ধানের শীষের সুলতান মাহমুদ ওরফে বাবু, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির মনজুরুল আহসান খান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. মিনহাজ উদ্দিন সংসদ নির্বাচন করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বলেন, নির্বাচনের শুরু থেকেই এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য খোদ দলের প্রথম সারির নেতারাই ছিলেন। মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রকাশ্যে ওই সব নেতা ফরিদুল হকের বিরুদ্ধে মিছিল, সভা ও সমাবেশ করেন। ওই নেতারা তো রয়েছেনই আর বর্তমানে নতুন করে যোগ হয়েছে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টির প্রার্থী সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোটের মাঠের এক পাশ থেকে আরেক পাশে ঘুরে ভোট চাইছেন। আওয়ামী লীগের বেশ ক্ষতি করছে জাতীয় পার্টি। কারণ, জাতীয় পার্টি তাদেরই শরিক দল। শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি মাঠে থেকে গেলে অবশ্যই আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর গোপনে যদি আওয়ামী লীগের কিছু নেতা জাতীয় পার্টিকে সমর্থন দেন, তাহলে তো দলের বড় ধরনের ক্ষতি হবে। এতে লাভবান হবে বিএনপি

মোস্তফা আল মাহমুদবলেন, ‘আমি মানুষের সেবা করার মনোভাব নিয়েই এই আসনে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি। আমার কথা ও কর্মকাণ্ডে ভোটাররা অনেক আশাবাদী এবং আমি মাঠেও ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।’

ফরিদুল হক বলেন, ‘এই সরকারের আমলে আমি এই আসনে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। এতে ভোটাররা ব্যাপক খুশি। দলীয় সব নেতা–কর্মী আমার সঙ্গেই রয়েছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী ভোটের মাঠে কোনো ধরনের প্রভাব ফেলতে পারবেন না। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা চিন্তা করেই ভোটের দিন আমার পক্ষেই ভোট আসবে।’