ডিসি কার্যালয়ের সামনে বসে পড়লেন লতিফ সিদ্দিকী
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে চারটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার দুপুরে এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী। এর প্রতিবাদে তিনি টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন।
লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আজ দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের সরাতৈল গ্রামে যান। এ সময় রেললাইনের পাথর দিয়ে ঢিল ছুড়ে মারা হয় । পরে লতিফ সিদ্দিকী তাঁর বহর নিয়ে বল্লভবাড়ি গ্রামে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনের বাড়িতে যান। সেখানেও হামলাকারীরা গিয়ে তাঁর বহরের চারটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় তাঁর কয়েকজন কর্মী আহত হন।
ঘটনার পর আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ভাঙচুর হওয়া গাড়িগুলো নিয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বেলা আড়াইটার দিকে আসেন। তিনি সেখানে বসে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি শুরু করেন।
সেখানে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘স্থানীয় সাংসদদের চেলা গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদারের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে। এর আগেও তিনবার লিখিতভাবে প্রশাসনকে জানিয়ে কোনো ফল পাইনি।’ তিনি বলেন, ‘কালিহাতীতে বসে অবস্থান ধর্মঘট করলে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যেত। শেখ হাসিনা বিব্রত হোক, সরকার বিব্রত হোক, তা চাই না। এ জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ধর্মঘট শুরু করেছি।’
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাঁকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করতে অনুরোধ জানান। তখন লতিফ সিদ্দিকী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহারের দাবি জানান। তিনি লিখিত একটি অভিযোগও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দেন।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী হামলার ঘটনায় অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টাঙ্গাইল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ হাসান ইমাম খান বলেন, গণসংযোগকালে লতিফ সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় দলীয় কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে এ হামলা চালিয়েছেন। এতে তাঁর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।