প্রার্থীদের নজর নতুন পাঁচ লাখ ভোটারে

একাদশ সংসদ নির্বাচন
একাদশ সংসদ নির্বাচন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনে এবার প্রায় ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৩৩ জন নতুন ভোটার। গত ১০ বছরে তাঁরা ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। এবার নির্বাচনে ফলাফল নির্ধারণে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন। এ কারণে তাঁদের ভোট টানতে বিশেষ নজর দিচ্ছেন প্রার্থীরা।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয় আসনের মধ্যে একটিতে ভোট না হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বাকি পাঁচটিতে নির্বাচন হয়। তবে বিএনপির বর্জনের কারণে এই আসনগুলোয় শক্ত প্রতিপক্ষ ছিল না। এ কারণে নতুন ভোটারদের বড় একটি অংশ ভোট দিতে পারেনি। তাই এবারই এই তরুণেরা প্রথমবার সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনে এবার ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ১১ জন ভোটার রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৯ লাখ ৮৭ হাজার ২৮০ জন পুরুষ ও ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৭৩১ জন নারী। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে এ ছয়টি আসনে ভোটার ছিলেন ১৪ লাখ ৪৪ হাজার ৭৮ জন।
ছয়টি আসনের অর্ধশতাধিক নতুন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা এবার ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে চান। এ জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তাঁরা বলেন, প্রার্থীর নিষ্ঠা-সততা, আগের কর্মকাণ্ড, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সক্ষমতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি ও শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব দেবেন—এসব বিষয় ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেবেন তাঁরা।
নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, প্রার্থীরা নতুন ভোটারদের কাছে টানতে প্রচারণায় তরুণদের প্রাধান্য দিচ্ছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সাংসদ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তরুণদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন। তিনি নির্বাচনী এলাকার প্রায় ১ হাজার ২০০ তরুণ-তরুণীর বিভিন্ন জায়গায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তবে জেলার ছয় আসনের আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে দলীয় নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে সরাসরি যোগাযোগ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানা প্রচারণা চালাচ্ছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনিসুল হক বলেন, ‘এলাকার তরুণদের কর্মসংস্থান বাড়ানো ও প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাব। পাশাপাশি তরুণেরা নিজেদের যেন ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে পারে, এ রকম শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব।’ তিনি আরও বলেন, এই প্রজন্মের তরুণদের প্রযুক্তি শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। যদি তরুণেরা প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত হন, তাহলে তাঁদের কর্মসংস্থান করতে বেগ পেতে হবে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী কাজী নাজমুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় শিক্ষার ওপর অবশ্যই গুরুত্ব দেব। কারণ, এই এলাকার বেশির ভাগ তরুণ পড়াশোনার মাঝপথে বিদেশে পাড়ি জমান।’