তারুণ্য ও গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধায় গুরুত্ব

>
  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাল ইশতেহার তুলে ধরবেন 
  • সোনারগাঁও হোটেলে সকাল ১০টায় ইশতেহার ঘোষণা
  • মূল স্লোগান: ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ’
  • অঙ্গীকারের মধ্যে দুটি বিষয়ের ওপর বিশেষ জোর

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার আগামীকাল মঙ্গলবার ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ। দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনারগাঁও হোটেলে সকাল ১০টায় ইশতেহার তুলে ধরবেন।

ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির একাধিক সদস্য জানান, এবারের ইশতেহারের মূল স্লোগান হচ্ছে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ’। এতে ২১টি বিশেষ অঙ্গীকার করা হয়েছে।

এসব অঙ্গীকারের মধ্যে দুটি বিষয়ের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। ১. আমার গ্রাম-আমার শহর—শিরোনামে অঙ্গীকারে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগরসুবিধা পৌঁছে দেওয়ার রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। ২. তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি এই শিরোনামে করা অঙ্গীকারে তরুণ ও যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর এবং কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার কথা বলা হয়েছে।

এ ছাড়া আরও যেসব অঙ্গীকার করা হয়েছে এর মধ্যে রয়েছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ; নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা ও শিশুকল্যাণ; পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা; সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ নির্মূল; মেগা প্রকল্পগুলো দ্রুত ও মানসম্মতভাবে বাস্তবায়ন; গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুদৃঢ় করা; সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি; দারিদ্র্য নির্মূল; সব স্তরে শিক্ষার মান বৃদ্ধি; নিরাপদ সড়কের নিশ্চয়তা; প্রবীণ কল্যাণ কর্মসূচি।

আওয়ামী লীগের সূত্র জানায়, ইশতেহারের শুরুতে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনামলের অর্জন তুলে ধরা হয়েছে। এটাকে ‘গৌরবোজ্জ্বল পাঁচ বছর’ এবং স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা পূরণের সুবর্ণ সময় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পাঁচ বছরের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এ সময়টাকে লুণ্ঠন, দুঃশাসন ও দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধকাল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এক-এগারোর সময়কালকে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং এ থেকে উত্তরণের সময়কাল হিসেবে অভিহিত করা হয়।

ইশতেহারে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সরকারের সময়টাকে সংকট উত্তরণ ও দিনবদলের যাত্রা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমান শাসনামলকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশকে বিশ্বের বিস্ময় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও খাতের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অর্জন এবং ভবিষ্যতে কী করা হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।

ইশতেহারে গণতন্ত্র, নির্বাচন ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনে ২০২০ ও ২০২১ সালকে মুজিববর্ষ ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। ইশতেহারের শেষের দিকে এ বিষয়ে বিস্তারিত কর্মসূচি তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন, ২১০০ সাল পর্যন্ত বদ্বীপ বা ডেল্টা পরিকল্পনা এবং শেখ হাসিনার বিশ্বজনীন স্বীকৃতির বিষয়গুলো রয়েছে।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির প্রধান ও দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, ইশতেহারে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ওপরই জোর দেওয়া হয়েছে। মানুষকে এটাই বোঝাতে চাইছেন যে আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রাখতে পারেন। অতীতে আওয়ামী লীগ কথা রেখেছে। ভবিষ্যতেও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার বিষয়ে কথা রাখবে।