বিজয়ের দিনে রাজশাহীতে শিশুদের মন খারাপ

রাজশাহীতে বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। প্রতিবছরই তারা এই আয়োজন করে থাকে। এতে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী শিশুর জন্যই থাকে অন্তত সান্ত্বনা পুরস্কার। কিন্তু এবার ছবি আঁকা শেষে শিশুদের কোনো পুরস্কারই দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে, পুরস্কার পরে দেওয়া হবে। এতে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া শত শত শিশু ভীষণ মন খারাপ করে বাড়ি ফিরে গেছে বলে অভিভাবকেরা অভিযোগ করেছেন। 

অভিভাবকেরা জানান, নগরের কাজীহাটা এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে প্রতিবছর বিজয় দিবসে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশুরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আসে। এবার ১ হাজার ১৭০টি শিশু এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। অংশগ্রহণকারীরা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় এবার তাদের ব্যাংকের ভেতরের মেঝেতে জায়গা করা হয়েছিল। সেখানে কোনো অভিভাবককে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। প্রতিবছর চিত্রাঙ্কন শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এরই মধ্যে বিচারকেরা শিশুদের আঁকা ছবির মূল্যায়ন করতে থাকেন। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে চার বিভাগের শিশুদের আঁকা ছবি বিচারকদের ‘মার্কিং’ করা হয়ে যায়। পরে পুরস্কার দেওয়া হয় শিশুদের। বিজয়ী শিশুদের সঙ্গে সঙ্গে সব শিশুর জন্য থাকে সান্ত্বনা পুরস্কার। ফলে সব শিশুই খুশিমনে এই অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরে। কিন্তু এবার সেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়নি। ছবি আঁকা শেষে বাচ্চাদের বের করে দিয়ে বলা হয়, পুরস্কার পরে দেওয়া হবে। এ সময় শিশুরা ভীষণ মন খারাপ করে বেরিয়ে আসে।

খায়রুল ইসলাম নামের একজন অভিভাবক বলেন, দুই বছর থেকে তিনি এ ব্যাপারটা লক্ষ করছেন। তিনি বলেন, প্রত্যেক শিশুর জন্য যে সান্ত্বনা পুরস্কার থাকে, সেটাও অন্তত ৫০ টাকার মানের হয়। এটা পেলেও শিশুরা খুশি হয়। পরে হয়তো প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় যারা হয় তাদের ডেকে পুরস্কার দেওয়া হয়, কিন্তু এ সান্ত্বনা পুরস্কার নিতে আর কেউ আসে না।

প্রথম আলোর পক্ষ থেকে ফোনে ব্যাংকের পরিচালক (প্রশাসন) মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অভিভাবকদের অভিযোগ শুনে তিনি বলেন, এবার বাজেট দেরিতে আসার কারণে এটা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবারে বাজেট এসেছে। তারপর থেকেই ছুটি চলছে। এ জন্য টাকা তোলা যায়নি। তাই পুরস্কার পরে দেওয়ার কথা বলেছেন।