'হামার উপজেলা জেলা হয়া যাইবে'

‘হামার এলাকার অনেক উন্নয়ন হইছে। ড. ওয়াজেদ সেতু (ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া সেতু) হওয়ায় দিনাজপুরের সঙ্গে সহজে যাতায়াত করা যায়। পীরগঞ্জ পৌরসভা হইছে। একসময় হামার উপজেলা জেলাও হয়া যাইবে।’

এ রকম আশাবাদ রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনের অধীন টুকুরিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আজিজুল ইসলামের (৫২)।

টুকুরিয়া ইউনিয়নের খালাসপীর এলাকার কৃষক আতোয়ার রহমান, তরুণ ভোটার পীরগঞ্জ আবদুর রউফ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান, একই কলেজের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমানসহ আরও অনেকের একই ধরনের ভাষ্য।

এই আসনটি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার শ্বশুরবাড়ি এলাকা। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। আর বিএনপি থেকে এবারই প্রথমবারের মতো নির্বাচন করছেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম।

২০০৮ সালে এই আসনে শেখ হাসিনা নির্বাচন করে জয়ী হন। পরবর্তী সময়ে তিনি আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ সাংসদ নির্বাচিত হন। এ ছাড়া ২০১৪ সালের নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা জয়ী হন। উপনির্বাচনে শিরীন শারমিন চৌধুরী বিজয়ী হন।

গত শুক্রবার সকালে উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কথা হলো বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের সঙ্গে। শহিদুল ইসলাম নামের টুকুরিয়া ইউনিয়নের একজন শিক্ষক বলেন, ‘আমাদের এলাকাত দৃশ্যমান অনেক উন্নয়ন হইছে। আরও অনেক কিছু হইবে। উপজেলা জেলাও হয়া যাইবে।’

টুকুরিয়ার খালাসপীর এলাকা থেকে ফেরার পথে পীরগঞ্জ বন্দরে একটি চায়ের স্টলের সামনে কয়েকজন তরুণ গল্প করছিলেন। তাঁদের ভাষ্য, ‘শিরীন শারমিন চৌধুরী এলাকার বাসিন্দা না হলেও তিনি এলাকার জনগণের খোঁজখবর নেন। এলাকায় নিয়মিত আসেন।’

তবে উপজেলার স্থানীয় কোনো বাসিন্দা নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসুক—এমন প্রত্যাশার কথাও শুনিয়েছেন কেউ কেউ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা বন্দরের একজন ব্যবসায়ী বললেন, ‘নির্বাচনে হারজিত আছে। কিন্তু ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রার্থীর আবদারও কম করি দেখলে চলবে না।’

এই আসনে বিএনপির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম। এবারই প্রথম সংসদ নির্বাচন করছেন। তিনি জেলা বিএনপির সভাপতি। জেলার এই শীর্ষ নেতার বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নে। এই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানও তিনি।

এই আসনে আরও যাঁরা প্রার্থী রয়েছেন, তাঁরা হলেন অধ্যাপক কামরুজ্জামান (সিপিবি-কাস্তে), বেলাল হোসেন (হাতপাখা-ইসলামী আন্দোলন), হুমায়ুন এজাজ (এনপিপি-আম), মাসুদ সরকার (বিএনএফ-টেলিভিশন)।