ইসির বিব্রত বোধ করা যথেষ্ট নয়: ড. কামাল

নির্বাচন কমিশনে কথা বলছেন ড. কামাল হোসেন। আগারগাঁও, ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর। ছবি: আবদুস সালাম
নির্বাচন কমিশনে কথা বলছেন ড. কামাল হোসেন। আগারগাঁও, ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর। ছবি: আবদুস সালাম

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি হয়েছে। মিছিল করতে দেওয়া হচ্ছে না, পোস্টার লাগাতে দেওয়া হচ্ছে না। নির্বাচন কমিশন বিব্রত বোধ করছে। কেবল বিব্রত বোধ করাই যথেষ্ট না।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. কামাল হোসেন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সরকারকে আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে। প্রার্থীদের ওপর হামলা ও আঘাত বন্ধ করতে হবে। সারা দেশে কোথাও আমরা পোস্টার লাগাতে পারছি না। এক দলের পোস্টারে সারা দেশ ছেয়ে গেছে। একদলের পোস্টার থাকবে অন্য দলের কিছুই থাকবে না, এ রকম ঘটনা আমি আমার ৫৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে দেখিনি।’

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের ওপর হামলা হয়েছে, আ স ম আবদুর রবের ওপর হামলা হয়েছে, তাঁরা ভাঙা গাড়ির ছবি ইসিকে দিয়েছেন। সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি হয়েছে। মিছিল করতে দিচ্ছে না, পোস্টার লাগাতে দিচ্ছে না। এ ধরনের হামলার লিখিত তালিকা দিয়েছি আমরা। কিছু কিছু ঘটনার আমরা দিনক্ষণ স্থান সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেছি।’

হামলার ঘটনায় নির্বাচন কমিশন বিব্রতবোধ করেছে উল্লেখ করে কামাল হোসেন বলেন, ‘বিব্রত বোধ করা যথেষ্ট নয়। এসব সন্ত্রাসীর ঘটনায় পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা বলেছি, এক দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিন, তদন্ত করে প্রতিবেদন দিন। আমার গাড়িতে হামলা হয়েছে, হকিস্টিক দিয়ে হামলা করা হয়েছে। রবের গাড়িতে হামলা হয়েছে, তাঁর গাড়ির ড্রাইভারের মাথা ফেটেছে। রবের হাতে কাচ ঢুকেছে।’ এসব বিষয়ে তদন্ত করে ইসিকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া কথা বলেন তিনি।

নির্বাচনী মাঠে নিজেদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘বিরোধী দলকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টা বন্ধ করতে হবে। দুই-এক দিনের মধ্যেই এই ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি মরে গেলেও নির্বাচন বর্জন করব না। আমার লাশও করবে না। আমার লাশ নিয়ে ভোট দিতে যাবেন। আমার আঙুলটা তো থাকবে, ওটা দিয়ে টিপ দেবেন।’

সেনা মোতায়েনের আহ্বান জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, পারলে আজই সেনা মোতায়েন করা হোক। সেনা মোতায়েন করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাবে।

এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।