সরব আওয়ামী লীগ নীরব বিএনপি

কখনো প্রার্থীর সঙ্গে, কখনো ভাগ ভাগ হয়ে অলিগলিতে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা সকাল-বিকেল মিছিল–মিটিং করছেন। তবে বিপরীত চিত্র বিএনপি শিবিরে। শুধু বিএনপির প্রার্থী যেখানে যাচ্ছেন, সেখানেই ধানের শীষের প্রচারণা। বাকি নির্বাচনী এলাকায় ধানের শীষের নীরব ভূমিকা। এমন চিত্র ঢাকা–৫ আসনে।

ঢাকা-৫ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লা। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির নবীউল্লাহ।

প্রচারণার গত আট দিনে ঢাকা-৫ আসনজুড়েই নৌকার সরব অবস্থান দেখা যাচ্ছে। পাড়া–মহল্লায় ছোট–বড় নির্বাচনী মিছিল বেরুচ্ছে। নৌকার পোস্টার, ফেস্টুন প্রধান সড়ক থেকে অলিগলিতেও ছড়িয়ে পড়েছে। যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের কয়েকজন সমর্থক বলেন, তাঁরা তাঁদের প্রার্থীর পক্ষে খুব ভালোভাবেই প্রচারণা চালাচ্ছেন। মহল্লাগুলোতে প্রতিদিন সকাল–সন্ধ্যা দুই বেলা নিয়মিত মিছিল–মিটিং চলছে। সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নৌকার পক্ষে তাঁরা ভোট চাইছেন।

এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান মোল্লা নিয়মিত মিছিল–মিটিং আর গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। গতকাল সোমবারও তিনি দনিয়া, মাতুয়াইল ও ডেমরা এলাকায় নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালান। এ সময় তিনি লিফলেট বিতরণ করে জনগণের কাছে ভোট চান। 

বিএনপি স্বল্প পরিসরে

এদিকে ঢাকা–৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নবীউল্লাহ গণসংযোগ করছেন স্বল্প পরিসরে। নির্বাচনী এলাকাকে কয়েক ভাগে ভাগ করে প্রতিদিন তিনি একেক এলাকায় প্রচার চালাচ্ছেন। গতকাল এই এলাকার ৬২ নম্বর ওয়ার্ডে নবীউল্লাহ ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালান। এ সময় তাঁর সঙ্গে দলের কয়েক শ নেতা–কর্মী ছিলেন।

তবে প্রার্থী নবীউল্লাহকে ছাড়া ঢাকা-৫ আসনের কোনো থানা কিংবা শাখার কোনো জায়গায় বিএনপি সমর্থকদের মিছিল–মিটিং দেখা যায়নি। পোস্টারও দেখা যাচ্ছে কম। যাত্রাবাড়ীসহ কয়েকটি প্রধান সড়কে ধানের শীষের অল্প কিছু পোস্টার দেখা গেছে। তা ছাড়া অলিগলিতে পোস্টার লক্ষ করা যায়নি। নাম প্রকাশ না করে যাত্রাবাড়ী থানার বিএনপির এক নেতা বলেন, ‘আমরা চাপে আছি। ব্যানার, পোস্টার কিছুই লাগাতে পারি না। প্রার্থীকে ছাড়া প্রচারে দেখলেই পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। তাই প্রার্থীর সাথেই যতটুকু পারা যায়, প্রচারণায় অংশ নিই।’ তাঁর মতে, নির্বাচনী প্রচারে সবচেয়ে বড় বাধা এখন পুলিশ।

বিএনপি–আওয়ামী লীগের বাইরে ঢাকা-৫ আসনে বাকি আরও আট প্রার্থী রয়েছেন। তবে তাঁদের অবস্থান খুব বেশি শক্ত নয়। তাঁদের প্রচার–প্রচারণাও তেমন দেখা যাচ্ছে না।