বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই সাদেক খানের প্রচারণা

নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাদেক খান। গতকাল লালমাটিয়ায়।  ছবি: প্রথম আলো
নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাদেক খান। গতকাল লালমাটিয়ায়। ছবি: প্রথম আলো

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, সঙ্গে হিমেল হাওয়া। এই বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই গতকাল সোমবার নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন ঢাকা–১৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাদেক খান। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রতিদিনই তিনি গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২৮ থেকে ৩৪ ওয়ার্ড নিয়ে ঢাকা–১৩ আসন। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৭২ হাজার ৭৬৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯২ হাজার ৬১২ জন এবং নারী ১ লাখ ৮০ হাজার ১৫৭ জন।

গতকাল সাদেক খান ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের লালমাটিয়া, খিলজী রোড, বাবর রোড, গজনবী রোড, হুমায়ুন রোড, ইকবাল রোড, স্যার সৈয়দ রোড, আওরঙ্গজেব রোড, পিসি কালচার ঘুরে ঘুরে বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত প্রচারণা চালান। এ সময় দলীয় নেতা–কর্মী–সমর্থকদের কেউ মোটরসাইকেলে, কেউ গাড়িতে করে আর অধিকাংশ হেঁটে প্রচারণার কাজে অংশ নেন।

সাদেক খান একটি খোলা জিপে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজেই প্রচার চালান। হাত নেড়ে সড়কের পাশের লোকজনকে শুভেচ্ছা জানান তিনি। বাজার বা জনসমাগমস্থলে গাড়ি থামিয়ে লোকজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। প্রচারণা চলাকালে তিনি কোথাও বক্তব্য দেননি।

সাদেক খানের গাড়িবহর দেখতে উৎসুক জনতা রাস্তার পাশে এসে দাঁড়ান। নারীরা বাসার বারান্দায় এসে দেখছিলেন গাড়িবহর। তবে রাস্তাঘাটে লোক অন্যদিনের তুলনায় কম দেখা গেছে।

পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটির কাছে প্রচারণা চালানোর একপর্যায়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগের বিগত দুই আমলে এলাকায় অনেক উন্নয়নকাজ হয়েছে। তারপরও কিছু কাজ বাকি রয়ে গেছে। নির্বাচিত হলে সেই অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করতে বিশেষভাবে জোর দেওয়া হবে। পাশাপাশি জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে; সেখানে যুবসমাজকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পরে এলাকায় খেলার মাঠ নির্মাণ, স্কুল–কলেজের গুণগত মান পরিবর্তন, অবাঙালিদের সমস্যার সমাধান এবং মাদক শতভাগ নির্মূলের চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।

এ সময় সাদেক খান বিএনপি সম্পর্কে বলেন, ‘যেহেতু এটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, সেহেতু তাদের (বিএনপি) স্বাগত জানাই। কিন্তু ২০১৪ সালে তারা এত অপকর্ম করেছে যে তাদের কাছে কোনো লোক নেই। জনগণ তাদের ধিক্কার দিচ্ছে। বরং হাজার হাজার জনতা নেমে এসেছে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাঁদের প্রচারে বাধা দিই না। বরং তারা আমার কিছু পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে।’

তবে বৃষ্টির কারণে গতকালের গণসংযোগে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ কিছুটা কম ছিল বলে জানান প্রচারণায় থাকা কয়েক নেতা।

আওরঙ্গজেব রোডের প্রবীণ বাসিন্দা ইউসুফ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভোটের আমেজ কম। এক পক্ষ মাঠে। দুই পক্ষের প্রচারণা থাকলে আরও জমত।’