খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনটি আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা রিট আবেদন হাইকোর্টের নতুন বেঞ্চ খারিজ করে দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একক বেঞ্চে প্রার্থিতা নিয়ে করা পৃথক তিনটি রিট আবেদন খারিজ হয়ে যায়।

এতে খালেদা জিয়ার রিট খারিজের সিদ্ধান্ত উচ্চ আদালতে চূড়ান্ত হলো এবং তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

সকালে এই আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা লিখিত একটি আবেদন দাখিল করেন। আদালত এই আবেদন খারিজ করে দেন। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাওয়ার কথা জানিয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সময় চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, এম বদরুদ্দোজা বাদলসহ অন্যরা আদালত কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। পরে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

পরে মোতাহার হোসেন সাজু প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের একক বেঞ্চ খালেদা জিয়ার করা তিনটি রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুসারে দণ্ডিত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। এই দিক বিবেচনায় নিয়ে আদালত রিট খারিজ করে দিয়েছেন।

তিন আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে খালেদা জিয়ার করা পৃথক রিট আবেদনের ওপর ১১ ডিসেম্বর বিভক্ত আদেশ দেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ। যে কারণে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়। এরপর প্রধান বিচারপতি বিষয়টি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন একক বেঞ্চে পাঠান। এটি তৃতীয় বেঞ্চ হিসেবেও পরিচিত। এই বেঞ্চে আবেদনগুলো শুনানির জন্য উঠলে ১৩ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার আইনজীবী সময়ের আরজি জানালে আদালত গতকাল সোমবার দিন ধার্য রেখেছিলেন। তবে হাইকোর্টের নতুন বেঞ্চে গতকাল শুনানি হয়নি। খালেদার আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আজ শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন।