কাজ পাবেন আরও ১ কোটি ২৮ লাখ মানুষ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে পাঁচ বছরে ১ কোটি ২৮ লাখ কর্মসৃজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আজ মঙ্গলবার দলটির নির্বাচনী ইশতেহারে এই প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরা হয়। নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি প্রতিটি উপজেলা থেকে গড়ে এক হাজার যুব বা যুব মহিলাকে বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

সকালে ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইশতেহার ঘোষণা করেন। ইশতেহারের উল্লেখযোগ্য অংশগুলো তিনি তুলে ধরেন।

আওয়ামী লীগের ইশতেহারে রয়েছে—
গণতন্ত্র, নির্বাচন ও কার্যকর সংসদ: বিগত ১০ বছর জাতীয় সংসদ ছিল সব রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে চলমান প্রক্রিয়াকে আরও জোরদার করব। সংসদকে আরও জোরদার করব। সংসদকে আরও কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে মানবাধিকার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, গণমাধ্যম ও বিচার বিভাগকে আরও শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা নেওয়া হবে।

আইনের শাসন ও মানবাধিকার সুরক্ষা: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার দীর্ঘ সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে। বিচার বিভাগের অবকাঠামো উন্নয়ন, বিচারক নিয়োগের পদ্ধতির স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, বিচারকদের জন্য যৌক্তিক বেতনকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ, গ্রাম আদালত প্রতিষ্ঠা, বিরোধ নিরসনে বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করা, প্রতিটি জেলায় লিগ্যাল এইড প্রতিস্থাপনসহ বিচারকদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সাধারণ মানুষদের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কাজ এগিয়ে চলছে। আমরা জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার, চার নেতা হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছি এবং গ্রেপ্তারকৃত দণ্ডিত ব্যক্তিদের বিচারের রায় কার্যকর করা হয়েছে। নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠনের সুযোগ পেলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংরক্ষণ ও মর্যাদা সমুন্নত রেখে প্রত্যেক নাগরিকের আইনের আশ্রয় ও সাহায্য-সহায়তা লাভের সুযোগ-সুবিধা অবারিত করা হবে। সর্বজনীন মানবাধিকার সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেকোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করা হবে। মানবাধিকার কমিশনে স্বাধীনতার কার্যকারিতা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।

দক্ষ, সেবামুখী, জবাবদিহি ও সেবামূলক প্রশাসন: প্রশাসনের সর্বস্তরে ই-গভর্নেন্স চালু করা হয়েছে এবং জনসেবা–সম্পর্কিত তথ্য প্রদানের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ কার্যকর করা হয়েছে। সর্বোপরি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও সম্মানজনকভাবে জীবনধারণের জন্য বেতন-ভাতা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটি আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ, দুর্নীতিমুক্ত দেশপ্রেমিক গণমুখী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ অব্যাহত থাকবে। প্রশাসনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, ন্যায়পরায়ণতা ও জনসেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা হবে।

জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গড়ে তোলা: পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ১০ বছরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল, পিবিআই, টুরিস্ট, নৌ, স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোটেকশন ব্যাটালিয়ন, রংপুরে রেঞ্জ, রংপুর আরআরএফ, ময়মনসিংহ রেঞ্জ, দুটি র‍্যাব ব্যাটালিয়ন, সাইবার পুলিশ এবং গাজীপুর-রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট, কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট গঠন করা হয়েছে। নির্বাচিত হয়ে ভবিষ্যতে দায়িত্ব পেলে আগামী পাঁচ বছরে জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ: জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করব। দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করা হবে। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি চালুর মাধ্যমে দুর্নীতির পরিধি ক্রমান্বয়ে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা আমাদের লক্ষ্য।

সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও মাদক নির্মূল: এসবের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির প্রতি আমাদের দৃঢ় অবস্থান অব্যাহত থাকবে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখলদারি বন্ধে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হবে।

স্থানীয় সরকার, জনগণের ক্ষমতায়ন: ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা পরিষদসহ পৌরসভা, সিটি করপোরেশনকে শক্তিশালী করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করা হবে। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠাসমূহকে অধিকতর আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করব। নাগরিক সুযোগ-সুবিধা উন্নত, প্রসারিত করার জন্য সরকারি সাহায্য, উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। নগর ও শহরে ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা, পরিকল্পিত উন্নয়ন ও নগর ব্যবস্থাপনার অধিকতর স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও জনগণের অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।

সামষ্টিক অর্থনীতি, উচ্চ আয়, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন: আগামী পাঁচ বছরে জিডিপির ১০ শতাংশে উন্নীত হবে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ। ২০৩০ সালে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় হবে ৫ হাজার ৪৭৯ মার্কিন ডলারের বেশি। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। দারিদ্র্যের হার নেমে যাবে শূন্যের কোঠায়।

অবকাঠামো উন্নয়নে বৃহৎ প্রকল্প (মেগা প্রজেক্ট): দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ১০টি মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দর, ঢাকা মাস র‍্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প, এলএনজি টার্মিনাল, মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম, পায়রা সমুদ্রবন্দর, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন স্থাপন। আওয়ামী লীগ এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। পায়রা বন্দরের পরিপূর্ণ উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এলএনজি টার্মিনাল বাস্তবায়িত হয়েছে, জাতীয় গ্রিডে এলএনজি গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে।

আমার গ্রাম, আমার শহর: আমরা নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে প্রতিটি গ্রামকে শহরে উন্নীত করার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করব। শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেব। আর ওই পাঁচ বছর দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। পাকা সড়কের মাধ্যমে সব গ্রামকে জেলা, উপজেলা শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। ছেলেমেয়েদের উন্নত পরিবেশে লেখাপড়ার সুযোগ তৈরি করা হবে। সুপেয় পানি এবং উন্নত মানের পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। সুস্থ বিনোদন ও খেলাধুলার জন্য অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে। কর্মসংস্থান গড়ে তোলার জন্য জেলা, উপজেলায় কলকারখানা গড়ে তোলা হবে। ইন্টারনেট, তথ্যপ্রযুক্তি সারা দেশে পৌঁছে যাবে গ্রামপর্যায় পর্যন্ত।

তরুণ ও যুবসমাজ: তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি। সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রধানতম শক্তি হচ্ছে যুবশক্তি। দেশের এই যুবগোষ্ঠীকে সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল ও উৎপাদনমুখী শক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্য অর্জনে আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি উপজেলায় প্রসারিত করা হবে। প্রতিটি উপজেলায় যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। জাতীয় পর্যায়ে স্বল্প, মধ্যম ও উচ্চশিক্ষিত তরুণদের জন্য তথ্যসংবলিত একটি ইন্টিগ্রেটেড ডেটাবেইস তৈরি করা হবে। তরুণদের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার ও আত্মকর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে বিনা জামানতে ও সহজ শর্তে জনপ্রতি দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণসুবিধা ইতিমধ্যে প্রদান করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই সুবিধা আরও বিস্তৃত করা হবে। তরুণদের সুস্থ বিনোদনের জন্য প্রতিটি উপজেলায় একটি গড়ে যুব বিনোদন কেন্দ্র। প্রতিটি জেলায় একটি করে যুব স্পোর্টস কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে। নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে পাঁচ বছরে ১ কোটি ২৮ লাখ কর্মসৃজনের পরিকল্পনা করেছি। প্রতি উপজেলা থেকে গড়ে এক হাজার যুব বা যুব মহিলাকে বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

নারীর ক্ষমতায়ন: জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে নারীদের অংশগ্রহণ এবং রাষ্ট্র ও জনজীবনের সর্বস্তরে নারী, পুরুষের সমানাধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বদ্ধ পরিকর। নারীর প্রতি সব বৈষম্যমূলক আচরণ ও প্রথা বিলোপ করা হবে। বাল্যবিবাহ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনব। কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান মজুরি নিশ্চিত করা হবে। নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে আলাদা ব্যাংক ও ঋণসুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

দারিদ্র্য বিমোচন ও বৈষম্য হ্রাস: বর্তমান সামাজিক সুরক্ষার আওতায় ৪ কোটি ৯২ লাখ মানুষ বিভিন্ন প্রকার আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছে। আগামী পাঁচ বছর এই সহায়তা দ্বিগুণ করা হবে এবং ভাতার পরিমাণও বৃদ্ধি করা হবে। দারিদ্র্যের হার ১২ দশমিক ৩ শতাংশ ও চরম দারিদ্র্যের হার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। প্রতিটি পরিবারে অন্তত একজনের নিয়মিত রোজগার নিশ্চিত করা হবে। একটি বাড়ি, একটি খামার প্রকল্প বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে। সহজ শর্তে দরিদ্র ঋণ প্রদানের মাধ্যমে আয় বর্ধকমূলক কর্মকাণ্ডের সম্পৃক্ত করা হবে।

কৃষি, খাদ্য ও পুষ্টি: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের সফল ধারা অব্যাহত রাখা হবে। কৃষি উপকরণের ওপর ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হবে। কৃষি যন্ত্রপাতি সহজ সুলভ ও সহজপ্রাপ্য করা হবে। কৃষিপণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা হবে। ফসল প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং কৃষিপণ্যের দক্ষ চেইন বা ভ্যালু চেইন গড়ে তোলা হবে। গবেষণায় বাজেট বরাদ্দ আরও বৃদ্ধি করা হবে। ছোট, মাঝারি আকারের দুগ্ধ ও পোলট্রি খামার প্রতিষ্ঠা, মৎস্য চাষের জন্য সহজ শর্তে ঋণ, প্রয়োজনমতো ভর্তুকি, প্রযুক্তিগত পরামর্শ ও নীতি সহায়তা আরও বৃদ্ধি করা হবে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি: ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট। দৈনিক সরবরাহ ছিল ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২০ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। ২০২০ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ ও ২০২৩ সালের মধ্যে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।

এ ছাড়া শিল্প উন্নয়ন, শ্রমিক কল্যাণ ও শ্রম মজুরি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবারকল্যাণ, যোগাযোগব্যবস্থাসহ দেশের বিভিন্ন সংস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে তুলে ধরা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ ইশতেহার পড়তে এখানে ক্লিক করুন