পুরান ঢাকার অলিগলি ঘুরে ভোট চাইলেন সুব্রত চৌধুরী

ঢাকা-৬ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ঐক্যফ্রন্টের নেতা সুব্রত চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারণা। গতকাল রাজধানীর শাঁখারীবাজারে।  ছবি: প্রথম আলো
ঢাকা-৬ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ঐক্যফ্রন্টের নেতা সুব্রত চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারণা। গতকাল রাজধানীর শাঁখারীবাজারে। ছবি: প্রথম আলো

মঙ্গলবার সকাল ১০টা। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এরই মধ্যে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবন থেকে গণসংযোগে নেমে পড়লেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা সুব্রত চৌধুরী। এরপর পুরান ঢাকার অলিগলি ঘুরে ভোট চাইলেন ধানের শীষে। ভোটারদের মাঝে বিলি করলেন প্রচারপত্র।

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ঢাকা-৬ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী।

সুব্রত চৌধুরী প্রথমে শাঁখারীবাজারে গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন মন্দিরে যান। গণসংযোগের সময় এলাকার অনেক ভোটার সুব্রত চৌধুরীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এলাকার বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রচারপত্র বিতরণ করেন তিনি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সুশাসন ফেরাতে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চান। সব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে ৩০ ডিসেম্বর ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ায় আহ্বান জানান তিনি। এ সময় অনেক ভোটার সুব্রত চৌধুরীকে ভোট দেওয়ার আশ্বাস দেন।

শাঁখারীবাজার পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী দীপক কুমার বলেন, ‘ঢাকা-৬ আসনে বরাবরই বিএনপির শক্ত অবস্থান আছে। এর মধ্যে শাঁখারীবাজার, সূত্রাপুর এলাকার ৩৫ ভাগ ভোট সংখ্যালঘুদের। এসব কারণে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবেন সুব্রত চৌধুরী।’

গণসংযোগের সময় সুব্রত চৌধুরীর সঙ্গে বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা ছিলেন। তাঁদের কয়েকজন বলেন, এই আসন থেকে বরাবরই জয়লাভ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাদেক হোসেন খোকা। তাঁকে এই এলাকার মানুষ ব্যাপক পছন্দ করেন। এবার দলের বৃহৎ স্বার্থে ধানের শীষ প্রতীকে সুব্রত চৌধুরীকে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী করা হয়েছে। তাঁকে বিজয়ী করতে এলাকার ভোটাররা ঐক্যবদ্ধ।

শাঁখারীবাজারের পর পাটুয়াটুলী, ইসলামপুর, কুমারটুলী, ওয়াইজঘাট এলাকায় গণসংযোগ করেন সুব্রত চৌধুরী। প্রচারণার সময় হামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে ছিলেন তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা।

এ বিষয়ে সুব্রত চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এক সপ্তাহের বেশি সময় আগে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন তিনি। কিন্তু পুলিশের গ্রেপ্তার ও ক্ষমতাসীন দলের হামলার আতঙ্কে সব নেতা-কর্মীকে নিয়ে মাঠে নামতে পারছেন না। এভাবে সব দলের প্রতি সমান সুযোগ হয় না। নির্বাচন কমিশনকে সবার জন্য সমান সুযোগ বা পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।