মুক্তির আগেই গ্রেপ্তার ধানের শীষের প্রার্থী

একাদশ সংসদ নির্বাচন
একাদশ সংসদ নির্বাচন

খুলনা-৬ আসনে (কয়রা-পাইকগাছা) ধানের শীষের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদকে ফের শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছে পুলিশ। গত সোমবার শ্যোন অ্যারেস্টের কাগজ জেলা কারাগারে পৌঁছায়। এর আগে উচ্চ আদালত থেকে জামিনের কাগজ কারাগারে পৌঁছানোয় মুক্তির অপেক্ষায় ছিলেন তিনি।
আবুল কালাম আজাদ খুলনা মহানগর জামায়াতের আমির। বিএনপি জোটের প্রার্থী হিসেবে খুলনা-৬ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর জামিনের চেষ্টা করে আসছিলেন জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। সর্বশেষ আবারও শ্যোন অ্যারেস্ট (একটি মামলায় গ্রেপ্তার থাকা অবস্থায় আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার) দেখানোয় অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
আবুল কালাম আজাদের আইনজীবী মো. শাহ আলম বলেন, গত ২৭ অক্টোবর খুলনা নগর থেকে গ্রেপ্তার হন আবুল কালাম আজাদ। যতবারই তাঁর জামিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, ততবারই শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। এবারেরটা দিয়ে মোট সাতবার এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। অথচ সবগুলো মামলাতেই হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি। সোমবার সকালেই তাঁর জামিনের আদেশ কারাগারে পৌঁছায়। কিন্তু বিকেলেও তাঁকে মুক্ত না করায় কারাগারে খোঁজ নিলে জেল সুপার জানান নতুন একটি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে তাঁকে।
এ ব্যাপারে কয়রা থানার ওসি তারেক চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, গত আগস্ট মাসের একটি নাশকতার মামলার কিছু আসামিকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিরা ওই নাশকতার পরিকল্পনাকারী হিসেবে আবুল কালাম আজাদের নাম প্রকাশ করেছেন। এ জন্য তাঁকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন জানানো হয়েছে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবুল কালাম আজাদের শ্যোন অ্যারেস্ট প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে। ওই আসনের ধানের শীষের নির্বাচনী এজেন্ট লিয়াকত আলী সরদার গতকাল দুপুরে আবেদনটি করেন। তাতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন থেকে সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে প্রার্থীদের হয়রানি না করতে নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদকে মিথ্যা মামলায় বারবার শ্যোন অ্যারেস্ট দেখাচ্ছে।
নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলেও প্রার্থী মাঠে না থাকায় বিপদে পড়তে হচ্ছে ঐক্যজোটের নেতা-কর্মীদের। সঠিকভাবে প্রচার–প্রচারণাও করতে পারছেন না তাঁরা।
আবুল কালাম আজাদের হয়ে নির্বাচনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন লিয়াকত আলী সরদার। তিনি বলেন, প্রার্থী নিজে নির্বাচনী মাঠে না থাকলে অনেক সমস্যা হয়। এ সুযোগটিই নিচ্ছে বিরোধী পক্ষ। গণসংযোগ করতে গেলে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের মারধর ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। অনেকটা এলাকাছাড়া হয়ে পড়েছেন নেতা-কর্মীরা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আওয়ামী লীগের কার্যালয় পোড়ানোর সাজানো মামলা। এসব মামলাতেও অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।