গণতন্ত্র উদ্ধারের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত থাকব: মান্না

বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুর রহমান মান্না। বগুড়া, ১৯ ডিসেম্বর। ছবি: সোয়েল রানা
বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুর রহমান মান্না। বগুড়া, ১৯ ডিসেম্বর। ছবি: সোয়েল রানা

নির্বাচনী এলাকায় ঢুকতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। মামলা-হামলা করে কর্মী-সমর্থকদেরও মাঠে থাকতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন এই নেতা। তিনি বলেন, ‘এটা গণতন্ত্র উদ্ধারের লড়াই। লড়াইয়ে আছি, শেষ পর্যন্ত থাকব।’

আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন এসব অভিযোগ করেন মাহমুদুর রহমান মান্না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে লড়ছেন তিনি। এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী রয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকের শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ।

ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না অভিযোগ করেন, ঢাকার কোনো জায়গায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পোস্টার নেই। পোস্টার লাগানোর সময় পুলিশ গ্রেপ্তার করছে। পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। নির্বাচনের প্রার্থীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বিস্ময়করভাবে ১০ থেকে ১২ জন প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা নজিরবিহীন অবস্থা। এটা গোটা বিশ্বে নজিরবিহীন ঘটনা। এ সময় তিনি আরও বলেন, গণসংযোগের শুরুর দিনে মোকামতলায় সভা করার কথা ছিল। পুলিশের কাছে অনুমতি নেওয়া ছিল। পরের দিন ১২টার সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হলো, সেখানে সভা বা গণসংযোগ করা যাবে না। পরে বাধ্য হয়ে শিবগঞ্জের কিচকে গণসংযোগ করা হয়েছে।

মান্নার অভিযোগ, ‘বগুড়ায় শিবগঞ্জের ভাইয়ের পুকুর বাজার এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা সাজিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। অথচ আমার নির্বাচনী এলাকায় হাজার হাজার পোস্টার লাগানো ছিল। সেগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হচ্ছে। প্রকাশ্যে সভায় আমার ওপর হামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এটা নির্বাচন দখলের অংশ। বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’ সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই বলে তারা এমন করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

দেশজুড়ে বিভিন্ন আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আইনের প্যাঁচে ফেলে বিভিন্ন আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল করা হচ্ছে। এভাবে যদি ৫০টি আসন ফাঁকা করা হয়, তাহলে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে সংশয় দেখা দেবে। তখন ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে সরকার গঠন কঠিন হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম আর ইসলাম স্বাধীন, শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মতিয়ার রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।