রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে নিরাপত্তা চাইলেন বিএনপির প্রার্থী

সালাহউদ্দিন সরকার
সালাহউদ্দিন সরকার

নিজের নিরাপত্তা চেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিয়েছেন গাজীপুর-২ আসনের বিএনপি দলীয় প্রার্থী সালাহউদ্দিন সরকার। এ ছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দেওয়া আরও তিনটি চিঠিতে তিনি বিভিন্ন অভিযোগ করেন।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সালাহউদ্দিন সরকার এসব চিঠি দেন।

একটি চিঠিতে সালাহউদ্দিন সরকার লিখেছেন, নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মী–সমর্থকেরা বিভিন্ন সময়ে বাধা দিয়েছেন। প্রাণনাশের হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন তিনি। যে কারণে তাঁর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার–প্রচারণা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা জরুরি।

চিঠিতে সালাহউদ্দিন সরকার অভিযোগ করেন, কর্মীদের মারধরসহ বিভিন্ন জায়গায় মাইক ভাঙচুর করে প্রচার–প্রচারণার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা ও প্রচার–প্রচারণা করা সম্ভব হচ্ছে না। একটি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি চিঠিতে লেখেন, টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত শিলমুন বাজারে ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাতটার দিকে আওয়ামী লীগের কর্মীরা ধানের শীষের প্রচারণা মাইক ভাঙচুর করেন। এ ছাড়া ওয়ার্ডের সব স্থানে ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাইফুল ইসলাম, আবদুর রহমান, মকবুল হোসেন ও মো. শাকিল।

সালাহউদ্দিন সরকারের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নেতা–কর্মীরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার শুরু থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আসছেন। নির্বাচনী এলাকায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে কিছু নেই। একই সঙ্গে আমার কর্মী–সমর্থকদের ভোট অনুষ্ঠান থেকে দূরে রাখতে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার, ভয়ভীতি প্রদর্শন, মিথ্যা গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। ১৫ ডিসেম্বর একটি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে সংসদ নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাঁর প্রায় সব নেতা–কর্মীর নামে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাইফুল ইসলাম মৃধা, শহিদুল ইসলাম ও পারভেজকে। তিনি আরও লেখেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশের টঙ্গী পূর্ব, টঙ্গী পশ্চিম, সদর থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা তাঁর কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধানের শীষের পক্ষে কাজ না করে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে আসছেন। অন্যথায় মামলা দিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৫৮ জনের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।

প্রতীক বরাদ্দের পর বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন সরকার টঙ্গীর মধুমিতা রোডে নিজ বাড়িতে কর্মীদের নিয়ে বেশ কয়েকটি বৈঠক করলেও আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন এক দিন।