তুলে নিয়ে যুবদল নেতাকে গুলি?

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা যুবদলের সভাপতিকে বুধবার বিকেলে সাদা গাড়িতে তুলে নেওয়ার পর একটি হাত ভেঙে পায়ে গুলি করে ফেলে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। বুধবার রাত আটটার দিকে আহত ওই নেতাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারকক্ষে নেওয়া হয়।

আহত এই নেতার নাম বাচ্চু রহমান। তাঁর বাড়ি মোহনপুর উপজেলার মেডিকেল মোড় এলাকায়। তিনি মোহনপুর উপজেলা যুবদলের সভাপতি ও রাজশাহী জেলা যুবদলের সহসভাপতি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোহনপুর উপজেলার রেজাউল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, বাচ্চু রহমান কেশোরহাট গরুহাটের ইজারাদার। হাটের টাকার–পয়সা হিসাব শেষে মোটরসাইকেলযোগে মোহনপুর উপজেলা সদরের দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে আরও একজন ছিলেন। মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন বাচ্চু। তখন বিকেল প্রায় চারটা। একটি সাদা মাইক্রোবাস এসে কালো কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে বাচ্চুকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে বাগমারা উপজেলার আচিনঘাট নামক স্থানে বাচ্চুর দুই পায়ে গুলি করে তারা ফেলে যায়। তারা বাচ্চুর বাঁ হাতও ভেঙে দেয়। রড দিয়ে বুকে বাড়ি দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে দলীয় লোকজন সেখান থেকে বাচ্চুকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। রাত আটটার দিকে তাঁকে অস্ত্রোপচারকক্ষে নেওয়া হয়।

রাজশাহী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে বাচ্চুকে তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে বাচ্চুর সঙ্গে আরেকজন ছিল। তার কথা শুনে তাঁদের পরিষ্কার মনে হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিলেও তারা রাজশাহী শহরের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। সাদা গাড়ির পেছনে আরও কয়েকটি মোটরসাইকেল ছিল। তারা বিভিন্ন এলাকায় এ কাজ করে বেড়াচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরাও ঘটনাটি শুনেছেন। ওই ব্যক্তি নাকি একটি হাটের ইজারাদার। তাঁর কাছে টাকা–পয়সাও ছিল। সাদা গাড়িতে করে নাকি তুলে নিয়ে যাওয়ার পরে পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। ঘটনাটি শোনার পরে তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন। তাঁরা ফিরে এলে তিনি বলতে পারবেন, সত্যিকারে কী ঘটনা সেখানে ঘটেছে।