ধানের শীষের প্রার্থীর 'কৌশলী' প্রচারণা

উত্তরায় গণসংযোগ করছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শহীদ উদ্দিন মাহমুদ।  প্রথম আলো
উত্তরায় গণসংযোগ করছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শহীদ উদ্দিন মাহমুদ। প্রথম আলো

‘বাধা ও হয়রানির’ মধ্যে ‘কৌশলে’ নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাকা-১৮ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শহীদ উদ্দিন মাহমুদ। অন্যদিকে এই আসনে বাঘ মার্কায় গণসংযোগ করছেন প্রগ্রেসিভ ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) প্রার্থী রফিকুল ইসলাম।

ধানের শীষের প্রার্থী জেএসডি নেতা শহীদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, প্রচারণায় গেলেই মিছিল-স্লোগান নিয়ে বাধা দেওয়া হচ্ছে তাঁর পক্ষের কর্মীদের। বাধার কারণে নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত হচ্ছে না।

গতকাল বুধবার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় প্রচারণা চালান শহীদ উদ্দিন মাহমুদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, যেখানে প্রচারণায় যান, সেখানেই ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা তাঁদের বাধা দেন। বাধ্য হয়ে কৌশল পরিবর্তন করে এখন তাঁরা ঝটিকা প্রচারণা করছেন। একটি স্থানে গিয়ে স্বল্প সময় থেকে প্রচারণা করে সরে যাচ্ছেন।

তাঁর সমর্থকেরা জানান, গত সোমবার উত্তরার ৩, ৫ ও ৭ নম্বর সেক্টরের সড়কগুলোতে নির্বাচনী পোস্টার টাঙাতে গেলে প্রথমে পুলিশ বাধা দেয়। পরে পোস্টারগুলো টেনে ছিঁড়ে পুড়িয়ে ফেলেন আওয়ামী লীগের লোকজন। দক্ষিণখানের বিএনপি নেতা নাজিম দেওয়ানকে কারাফটক থেকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে তাঁরা বলেন, নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে প্রায় সময়ই পুলিশের গাড়ি অবস্থান করছে। গ্রেপ্তারের ভয়ে কর্মীরা বের হতে পারছেন না। এমন বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও নির্বাচনী অঙ্গীকার নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী।

শহীদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের নেতা–কর্মীদের হামলা-মামলার আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। সুষ্ঠুভাবে প্রচারণা করতে পারছি না।’ এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাহারা খাতুনের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তিনি (সাহারা খাতুন) একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। তাঁর কাছে অনুরোধ, নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে যেন বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।’

এদিকে উত্তরার সেক্টরগুলোতে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে গতকাল দুপুরে এক সভায় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে নির্বাচনী পরিকল্পনা ও প্রতিশ্রুতির বিষয়ে কথা বলেন পিডিপির প্রার্থী রফিকুল ইসলাম। উত্তরায় তাঁর নির্বাচনী কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। নির্বাচনে জয়ী হলে ঢাকা-১৮ আসনের সমস্ত রাস্তাঘাট সংস্কার এবং জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে পানি ও পয়োনিষ্কাশন নালা নির্মাণ করব।’

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সত্যিকারের উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই আসনে এখনো যে সমস্যা বিদ্যমান, সেই সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করব এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াব। সেক্টরগুলোর আবাসিক পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। আবাসিক পরিবেশ নষ্ট করে কোনো বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না। করলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ব্যবসায়ীদের জন্যও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।’