রামপালে নৈশকোচ উল্টে নিহত ৩

বাগেরহাটের রামপালে দূরপাল্লার একটি নৈশকোচ গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যাওয়ার ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। ২০ ডিসেম্বর, সোনাতুনিয়া, রামপাল, বাগেরহাট। ছবি: প্রথম আলো।
বাগেরহাটের রামপালে দূরপাল্লার একটি নৈশকোচ গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যাওয়ার ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। ২০ ডিসেম্বর, সোনাতুনিয়া, রামপাল, বাগেরহাট। ছবি: প্রথম আলো।

বাগেরহাটের রামপালে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী একটি বাস গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে গিয়ে চালকের সহকারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় ওই নৈশকোচের অন্তত ১৬ যাত্রী আহত হন।

আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের রামপাল উপজেলার সোনাতুনিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাগেরহাট কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সরদার মাসুদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

দুর্ঘটনার পর ওই সড়কে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। বাসটি সড়কের ওপর থেকে সরানোর পর আজ সকাল সাড়ে আটটা থেকে আবার যান চলাচল শুরু হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁরা হলেন বাসচালকের সহকারী বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা পেড়িখালী গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে ফেরদাউস ও মোংলা উপজেলার পৌরসভার মাদ্রাসা সড়কের সরোয়ার হোসেনের ছেলে মো. কামরুল। নিহত আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি।

সরদার মাসুদুর রহমান বলেন, ঢাকা থেকে মোংলার উদ্দেশে ছেড়ে আসা আরাফাত পরিবহনের একটি নৈশকোচ মহাসড়কের রামপাল উপজেলার সোনাতুনিয়া এলাকায় পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। বাসটি তখন সড়কের পাশের একটি মেহগনিগাছে ধাক্কা খেয়ে সড়কের ওপর উল্টে যায়। ঘটনাস্থলে দুজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়। বাসটিতে অন্তত ২৫ জন যাত্রী ছিলেন।

দুর্ঘটনায় খবর পেয়ে বাগেরহাট, মোংলা ইপিজেড ও খুলনা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট এসে উদ্ধারকাজ শুরু করে। দুর্ঘটনার পর সড়কের ওপর উল্টে যাওয়া বাসটির মধ্যে ১০ যাত্রী আটকে পড়েন। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাঁদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

খুলনা থেকে পুলিশের রেকার এনে বাসটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

প্রথম আলোর হিসাব অনুযায়ী, আজ তিনজনসহ গত ৬৬৩ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৮৫।