'আ.লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অধিকতর গণতান্ত্রিক'

রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন। জাতীয় প্রেসক্লাব, শুক্রবার। ছবি: আহমেদ দীপ্ত
রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন। জাতীয় প্রেসক্লাব, শুক্রবার। ছবি: আহমেদ দীপ্ত

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অধিকতর গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, দেশের তিনটি বড় রাজনৈতিক দল ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারের মধ্যে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অধিকতর গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিমুখী ও প্রগতিশীল।

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন করে রানা দাশগুপ্ত এসব কথা বলেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ব্যাপারে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে একেবারেই নিশ্চুপ। জাতীয় পার্টির মতো জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও ক্ষুদ্র জাতিসত্তার স্বার্থ ও অধিকার সুনিশ্চিতকরণের ব্যাপারে নীরবতা অবলম্বন করেছে।

রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি, দেশের প্রায় সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ১২ শতাংশ ভোটারের ন্যায়সংগত দাবিগুলোকে প্রথমবারের মতো সুস্পষ্টভাবে আমলে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। অতীতের মতো বিবেচনার একেবারে বাইরে রাখার চেষ্টা করেনি বা অস্পষ্টভাবে তুলে ধরেনি।’

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার সম্পর্কে রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে ৩.২৯ অনুচ্ছেদে পঞ্চদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে বাহাত্তরের সংবিধানের চার রাষ্ট্রীয় মূলনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেছে। আমরা আজকের এই সংবাদ সম্মেলন থেকে এর সঙ্গে পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন করে বলতে চাই, বিদ্যমান সংবিধান ১৯৭২-এর সংবিধান নয়। বিদ্যমান সংবিধান সব নাগরিকের সমমর্যাদা ও অধিকার সুনিশ্চিত করে না। আমরা ৭২-এর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি করছি।’

বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহার প্রসঙ্গে রানা দাশগুপ্ত বলেন, বিএনপির ওয়েবসাইটে তাদের দলের নির্বাচনী ইশতেহার পাওয়া যায়নি। তবে, দলের মহাসচিব কর্তৃক পঠিত ইশতেহারের সারাংশ থেকে দেখা যায়, তাতে ‘ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়’-এর জন্য চাকরি, শিক্ষা ক্ষেত্রে সব সুবিধা, সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ও ধর্মকর্মের অধিকার এবং জীবন, সম্ভ্রম ও সম্পদের পূর্ণ নিরাপত্তা বিধানের কথা বলা হয়েছে।

রানা দাশ গুপ্ত বলেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যারাই সরকার গঠন করুক বা সংসদের বিরোধী দলে অবস্থান নিক, তারা নির্বাচনী ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি যথাযথ বাস্তবায়নে আন্তরিক পদক্ষেপ যেন নেয়।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মঞ্জুর ধর, কাজল দেবনাথ, বাসুদেব ধর, দীপেন চ্যাটার্জি, সাংগঠনিক সম্পাদক উত্তম কুমার, পদ্মাবতী দেবী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।