জনকণ্ঠে বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ

দৈনিক জনকণ্ঠে বকেয়া বেতনের দাবিতে সাংবাদিক-কর্মচারীরা বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন। শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে ‘জনকণ্ঠ ভবনের’ নিচতলায় প্রায় আড়াই শ সাংবাদিক ও কর্মচারী এই কর্মসূচিতে যোগ দেন।

অবস্থান-ধর্মঘটের কারণে পত্রিকাটির প্রকাশের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে ঘটনাস্থলে এসেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নেতারা। ভবনটির নবম তলায় নিজ দপ্তরে অবস্থান করছেন জনকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক আতিকুল্লাহ খান মাসুদ।

জনকণ্ঠের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সাংবাদিক ইউনিয়নের জনকণ্ঠ ইউনিটের প্রধান রাজন ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, পত্রিকাটিতে কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মচারীদের ১৫ থেকে ২৬ মাস পর্যন্ত বেতন বকেয়া রয়েছে। মালিকপক্ষ এই বকেয়া পরিশোধের জন্য তিনবার সময় নিয়েছে। সব শেষ প্রতিশ্রুতি অনুয়ায়ী চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আতিকুল্লাহ খান। কিন্তু ডিসেম্বর মাস শেষ হতে চললেও মালিকপক্ষ কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। অথচ তিনি (আতিকুল্লাহ) লিখিত আকারে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এ কারণে কয়েক দিন আগে আতিকুল্লাহ খান বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি চিঠির কোনো উত্তর দেননি। বরং তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘তোমরা যা করার করো।’

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ উম্মুল ওয়ারা সুইটি প্রথম আলোকে বলেন, এই পরিস্থিতিতে আতিকুল্লাহ খান রাত ১০টার দিকে বিক্ষোভকারীদের জানিয়েছেন, তিনি ৩০ ডিসেম্বর জানাবেন কবে বকেয়া শোধ করবেন। কিন্তু তা না মেনে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। যদিও সাংবাদিক-কর্মচারীরা বলছেন, জনকণ্ঠ ইউনিট যে সিদ্ধান্ত নেবে, তাতে তাঁদের সমর্থন থাকবে।