সাভারে বিএনপির প্রার্থীর প্রচারণা

বিএনপির প্রার্থী দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের মিছিল। গতকাল সাভার বাজার রোডে। প্রথম আলো
বিএনপির প্রার্থী দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের মিছিল। গতকাল সাভার বাজার রোডে। প্রথম আলো

ঢাকা-১৯ (সাভার) আসনে বিএনপির প্রার্থী দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন গতকাল শনিবার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সাভার পৌর এলাকা ও আশুলিয়ার একটি বিপণিবিতানে প্রচারণা চালিয়েছেন। বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলছেন, মামলা-হামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়ে অধিকাংশ নেতা-কর্মী পলাতক। অল্পসংখ্যক কর্মী-সমর্থক নিয়ে তাঁরা গতকাল প্রচারণা চালান। এর আগে টানা পাঁচ দিন তাঁরা প্রচারণায় বের হতে পারেননি।

এই আসনে দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ এনামুর রহমান। দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন প্রথম থেকেই কৌশলে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর তিনি নেতা-কর্মীদের নিয়ে নিয়মিত গণসংযোগে বের না হয়ে মাঝেমধ্যে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে নেতা-কর্মীর পরিবর্তে সমর্থকই বেশি থাকেন।

গতকাল বেলা ১১টার দিকে দেড় শতাধিক কর্মী-সমর্থক নিয়ে দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন পৌর এলাকার বাসস্ট্যান্ড (সাভার বাসস্ট্যান্ড) থেকে মিছিল করেন। মিছিলটি বাজার রোডের ব্যাংক কলোনির বিভিন্ন অলিগলি হয়ে তাঁর বাসায় (ব্যাংক কলোনি) গিয়ে শেষ হয়। মিছিল থেকে সমর্থকেরা ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করে স্লোগান দেন। এ সময় প্রচারপত্রও বিলি করেন তাঁরা। মিছিল শেষে দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন তাঁর বাসায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতার সঙ্গে কথা বলেন।

বিকেলে সালাউদ্দিন প্রচারণা চালান আশুলিয়ার নবীনগরের একটি বিপণিবিতানে। এ সময় তিনি প্রতিটি দোকানে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন এবং সবার দোয়া চান।

দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের সঙ্গে প্রচারণায় আমি থাকলে কোনো বাধা আসে না। কিন্তু নেতা-কর্মীরা এককভাবে প্রচারণা চালাতে পারছেন না। আমাকে কোনো পোস্টার টাঙাতে দেওয়া হচ্ছে না। ভেঙে ফেলা হচ্ছে নির্বাচনী ক্যাম্প। মিথ্যা মামলা দিয়ে নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অনেক নেতা-কর্মীকে। মামলা ও হয়রানির ভয়ে নেতা-কর্মীরা প্রচারণায় অংশ নিতে পারছেন না।’

তিনি বলেন, ‘আমার বাসার সামনে পুলিশ পাহারা দেয়। আমাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হয় না। নেতা-কর্মীরা আসতে পারেন না। এই প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে।’