উপকূলের মানুষের জীবনমান বদলাতে চান জহিরুল

জহিরুল আলম সবুজ
জহিরুল আলম সবুজ

পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হয়ে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন জহিরুল আলম সবুজ। পেশায় আইনজীবী এই তরুণ বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) মনোনীত বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থী।

মই প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন জহিরুল। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কালোটাকা ছড়িয়ে ক্ষমতায় গিয়ে যাঁরা লুটপাটের স্বর্গরাজ্য তৈরি করেন, যাঁরা রাজনীতির নামে লুটপাট-দুর্নীতি করেন, তাঁদের পরিত্যাগ করে জনগণের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে আমরা নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়েছি।’

স্নাতক পাস করে এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্নকারী এই তরুণ নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ১৪ ডিসেম্বর মহিপুর থানার চাপলীবাজারে তাঁর পক্ষে করা পথসভায় বাসদ বরিশাল বিভাগের সমন্বয়ক মনীষা চক্রবর্তীসহ জোটের অন্য নেতারা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকদের হামলার শিকার হন। একই দিন সন্ধ্যার পর ধুলাসার ইউনিয়নের বাবলাতলা বাজারে পথসভা শুরু করলে আবারও প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে। বাস্তব পরিস্থিতি হলো, কলাপাড়া-রাঙ্গাবালীতে নির্বাচনের কোনো সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। ভিন্নমতের প্রার্থীরা প্রত্যেকেই একরকম হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন। নির্বাচনের সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।

বাসদের পটুয়াখালী জেলার সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা এই প্রার্থী বলেন, কলাপাড়ায় ভূমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী কাজের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারলে মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসবে। এ ছাড়া, তিনি নির্বাচিত হলে সমুদ্র উপকূলের এ এলাকায় মৎস্যজীবীদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য আবাসন ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটাকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার পদক্ষেপ নেবেন।