সিইসির কাছে বিএনপির প্রশ্ন, পেল উত্তরও

সিইসি কে এম নুরুল হুদা ও  নজরুল ইসলাম খান
সিইসি কে এম নুরুল হুদা ও নজরুল ইসলাম খান

নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন ২৭ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন জনসভা করতে পারবে না, তা জানতে চেয়েছে বিএনপি। আজ রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে দেখা করে তাঁর কাছে এই প্রশ্ন করেন বিএনপির নেতারা।

বিএনপি নেতার এই প্রশ্নের জবাবে সিইসি কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ২৭ ডিসেম্বর জনসভা করার অধিকার বিএনপি রাখে। এ ব্যাপারে তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।

আজ সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনে বিএনপির নেতারা সিইসির সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁকে সমাবেশের বিষয়ে লিখিত দেন। ঘণ্টাখানেক আলোচনার পর নেতারা বের হন। এরপর গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ব্রিফ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু ও আহমেদ আজম খান, দলীয় চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খান উপস্থিত ছিলেন।

গণমাধ্যমকর্মীদের নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রথা অনুযায়ী সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে এলে শেষ দিকে সব দল বড় জনসভা করে। সে অনুযায়ী বিএনপি ২৭ ডিসেম্বর সভা করতে চেয়েছিল। নজরুল ইসলামের দাবি, ডিএমপি কমিশনার তাঁদের জানিয়েছেন, ২৪ ডিসেম্বরের পর ঢাকায় আর জনসভা করা যাবে না। অথচ নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচার চালানো যাবে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় জনসভা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর পর আর কেউ জনসভা করতে পারবে না, এটা বিমাতাসুলভ আচরণ এবং উদ্দেশ্যমূলক। বিষয়টি নির্বাচনী কাজে বাধা দেওয়ার শামিল। নজরুল ইসলাম খান জানান, তাঁরা সিইসিকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন। সিইসি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সিইসি বলেছেন, বিএনপি ২৭ ডিসেম্বর সভা করার অধিকার রাখে।

বিএনপি নেতারা সিইসির কাছে নানা অভিযোগও তুলে ধরেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম–২ আসনের প্রার্থী আজিমুল্লাহ বাহারের ওপর আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলা, নোয়াখালী-৪ আসনে মো. শাহজাহানের ওপর পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলা, দেবীদ্বার সার্কেল এসপির ভয়ভীতি দেখানো, মুরাদনগরের ওসির দলীয় নেতাদের মতো আচরণ প্রভৃতি।

নজরুল ইসলাম খান আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচন কমিশন সুনাম রক্ষার স্বার্থে এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী মর্যাদার প্রতীক। তাঁদের আশা, নির্বাচনে এ বাহিনীর সদস্যরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে দেশের মর্যাদা বাড়াবেন।