বিএনপির প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিনের ওপর হামলা

হামলায় নুরুদ্দিন মাথা ও ঘাড়ে আঘাত পেয়েছেন। ছবি: প্রথম আলো
হামলায় নুরুদ্দিন মাথা ও ঘাড়ে আঘাত পেয়েছেন। ছবি: প্রথম আলো

শরীয়তপুর-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদসহ তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা হয়েছে। এতে নুরুদ্দিন মাথা ও ঘাড়ে আঘাত পেয়েছেন। এ ছাড়া দলের ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নুরুদ্দিন নেতা-কর্মীদের নিয়ে গোসাইরহাট উপজেলার কুদালপুর থেকে মিছিল করে উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মিছিলটি সদরের পট্টি এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। এতে নুরুদ্দিন মাথা ও ঘাড়ে আঘাত পান। নেতা-কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে কুদালপুর ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশুকেন্দ্রে নিয়ে আসেন। হামলার ঘটনায় ওই এলাকায় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।

নুরুদ্দিনের স্বজনেরা জানান, তাঁকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নেওয়া হবে।

নুরুদ্দিন দাবি করেন, তাঁকে মেরে ফেলার জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে। তিনি এলাকায় নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছেন।

বেলা একটার দিকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ও গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা নুরুদ্দিনকে দেখত হাসপাতালে আসেন। আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির প্রার্থী গোসাইরহাটে যাবেন, তা তাঁদের জানা ছিল না। হামলার এ ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। এটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ওসি বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশ দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু এর মধ্যে বিএনপির প্রার্থীর ওপর হামলা হয়। লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাহিম রাজ্জাকের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে গোসাইরহাট উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নাসিরউদ্দিন জানান, এখানে বিএনপির অন্তর্দ্বন্দ্ব রয়েছে। তাদের মধ্যেই সংঘর্ষ হয়। এ থেকেই প্রার্থীর ওপর হামলা হতে পারে। এতে আওয়ামী লীগ যুক্ত নয়। বাজারের মধ্যে সংঘর্ষ হলে ব্যবসায়ীরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের ধাওয়া দেন।