'ডিজিটাল গ্রিন মেগাসিটি' মুক্তাদীরের ২২ দফায়

নির্বাচিত হলে সিলেটকে ‘ডিজিটাল গ্রিন মেগাসিটি’ হিসেবে গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সিলেট-১ (মহানগর-সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদীর। গতকাল রোববার দুপুরে নগরের ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোডে তাঁর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে ‘সিলেট-১ নির্বাচনী এলাকা নিয়ে আমার উন্নয়নভাবনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি ২২টি উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে সবুজ মহানগরী, আধুনিক ও নিরাপদ পর্যটন, সড়ক, নৌ, রেল ও আকাশপথে যোগাযোগ উন্নত ও আধুনিক, যানজট নিরসনে রিং রোড স্থাপন ও গণপরিবহনের ব্যবস্থা, সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার বিকাশ, নিজস্ব ইতিহাস ঐতিহ্য ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও উৎকর্ষসাধন, কৃষিভূমি ব্যবস্থাপনা, পূর্ণাঙ্গ চিড়িয়াখানা, অত্যাধুনিক মা ও শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত, ভাসমান ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন, প্রবাসীদের জন্য বিশেষ সেল গঠন, শিল্প বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা, শিল্পায়ন, চা–শ্রমিকদের মানোন্নয়ন, শ্মশানঘাটের আধুনিকায়ন, উন্মুক্ত পার্ক স্থাপন, নদী ড্রেজিং, জুয়া ও অসামাজিকতা বন্ধ, মাদকের মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণ, ওসমানী বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা, খেলার মাঠ নির্মাণ ও প্রশিক্ষণ।

সংবাদ সম্মেলনে সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ হক, মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন সহ ২০–দলীয় জোটের শরিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এত কিছু বাস্তবায়ন সম্ভব কি না, এমন প্রশ্নে খন্দাকার মুক্তাদীর বলেন, ‘সিলেট মহানগরীতে একজন উদ্যমী মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী থাকায় এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহজ হবে বলে আমি আশাবাদী। সিলেট নগরীকে “গ্রিন মেগা সিটি” হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নগরে সবুজায়নকে উৎসাহিত করা হবে এবং নগরীতে পরিকল্পিত বৃক্ষায়ণ করা হবে।’