জাপা প্রার্থী আশরাফের জোরেশোরে প্রচারণা

কাজী আশরাফ সিদ্দিকী
কাজী আশরাফ সিদ্দিকী

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী কাজী আশরাফ সিদ্দিকী ভোটারদের মন জয় করতে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এ আসনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থী থাকায় ও ব্যাপক গণসংযোগ করায় আওয়ামী লীগকে ভাবিয়ে তুলছে।

তবে এ আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে সখীপুর-বাসাইলের একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা বলেছেন, শেষ মুহূর্তে নৌকা মার্কাকে সমর্থন দিয়ে জাপা প্রার্থী মাঠ ছেড়ে চলে যাবেন। কারণ এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম।

সখীপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, সারা দেশে জাতীয় পার্টিকে ২৯টি আসন ছেড়ে দিয়েছে মহাজোট। আরও ১৩৩ আসনে জাতীয় পার্টিকে ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে। টাঙ্গাইল-৮ আসনটিও ফ্রি। এ আসনে জাতীয় পার্টি ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন চালিয়ে যাবে। এখানে নৌকাকে কোনোভাবেই ছেড়ে দেওয়া হবে না।

গত শনিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দিনভর গণসংযোগ শেষে বিকেলে সখীপুর তালতলা চত্বরে জাতীয় পার্টির কাজী আশরাফ সিদ্দিকী এক পথসভার আয়োজন করেন। এ সময় জাপা প্রার্থী কাজী আশরাফ সিদ্দিকী ছাড়াও দলের উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, সহসভাপতি শাহাদত হোসেন, ফরমান আলী, পৌর কমিটির সভাপতি আয়নাল হক সিকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠনের উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতারাও বক্তব্য দেন। সমাবেশে কয়েক হাজার নেতা–কর্মী উপস্থিত ছিলেন বলে জাতীয় পার্টি থেকে দাবি করা হয়। গতকাল রোববার তিনি উপজেলার তক্তারচালা, চতলবাইদ, নলুয়া ও বাসাইল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পথসভা করেন।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব কাজী আশরাফ সিদ্দিকী গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ আসনে নৌকার সঙ্গে আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী কাদের সিদ্দিকীর মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী এখনো পড়াশোনা করছেন। রাজনীতি বোঝেন না। এ আসনে ঐক্যফ্রন্ট তৃতীয় হবে।’ তিনি দাবি করেন, দুই উপজেলাকে সমভাবে গুরুত্ব দিয়ে তিনি গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সকালে, দুপুরে, বিকেলে বা রাতে পাড়া-মহল্লায় উঠান বৈঠক এবং পথসভা করে নির্বাচনের মাঠ সরগরম করে চষে বেড়াচ্ছেন গোটা নির্বাচনী এলাকা।