ভূমি সমস্যার সমাধানের প্রত্যয় কুঁড়ি সিদ্দিকীর

কুঁড়ি সিদ্দিকী
কুঁড়ি সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি এবারই প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এ আসনে তিনিই প্রথম নারী প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন।

কুঁড়ি সিদ্দিকীকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে। তাঁর বয়স ২৮ বছর। ব্যক্তিজীবনে তিনি অবিবাহিত। আইনে স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। তাঁর নির্বাচনী মাঠে আসার কথা ছিল না। বাবা কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র ঋণ খেলাপের কারণে বাতিল হওয়ায় তিনি বাধ্য হয়েই নির্বাচনে এসেছেন।

কুঁড়ি সিদ্দিকী গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে এ অঞ্চলের মানুষের জন্য কালো আইন আটিয়া বন অধ্যাদেশ-৮২ সংশোধন করে ভূমি সমস্যার সমাধান করব। সখীপুরের ১৪ মৌজার খাজনা নেওয়া না–নেওয়ার দীর্ঘদিনের জটিলতা নিরসন করব। নারীশিক্ষার উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা নেওয়াসহ বেকার সমস্যার সমাধানে কাজ করব। সখীপুর-বাসাইলের সার্বিক উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত রাখব। যেকোনো মানুষ সব সময় তাঁদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে নির্বিঘ্নে আসতে পারবেন। থানার দালালি, ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ করব। মাদকমুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করব। কৃষকদের উন্নয়নে কাজ করব। রাজনীতিতে ইতিবাচক ধারা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করা হবে।’

কুঁড়ি সিদ্দিকী বলেন, ‘এ অঞ্চলের মানুষ আমার বাবাকে ভীষণ ভালোবাসেন। মুক্তিযোদ্ধের সময় এ অঞ্চলের মানুষ আমার বাবাকে বঙ্গবীর, বাঘা সিদ্দিকী বানিয়েছেন। বেসামরিকের মধ্যে আমার বাবা একমাত্র বীর উত্তম খেতাব পেয়েছিল। সেই বাবার সন্তান হিসেবে আমাকে তাঁরা সাদরে গ্রহণ করেছেন।’

 কুঁড়ি সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আমার প্রতি ভোটারের ব্যাপক সাড়া দেখে আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রতিহিংসায় জ্বলছেন। পুলিশ দিয়ে নানাভাবে আমাদের নেতা–কর্মীদের ভোটের মাঠ থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন। প্রচার-প্রচারণায় আওয়ামী লীগ যে সুবিধা গ্রহণ করছে, আমরা সে সুযোগ পাচ্ছি না। ১৬ ডিসেম্বর রাতে আমার দলের সখীপুর উপজেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমানকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর দুই দিন আগে সাধারণ সম্পাদক মীর জুলফিকার শামীমসহ আমার দলের ১৩ জন নেতা–কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। দুই দিনে দুটি মামলায় ঐক্যফ্রন্টের পাঁচ শতাধিক নেতা মামলার আসামি হয়েছেন। প্রতিনিয়ত ওই সব নেতার বাড়িতে পুলিশ হানা দিচ্ছে। নেতা-কর্মীদের পরিবারের লোকজনকে হুমকি, ধমকি দিচ্ছে। ঐক্যফ্রন্টের নেতারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ প্রশাসন আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে। এ আসনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে কিছুই নেই। ২০১৪ সালে মানুষ ভোট দিতে পারেননি। এবার এ আসনে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য মানুষ উৎসুক হয়ে আছেন। বিশেষ করে নারী ভোটাররা আমাকে বেশি সাড়া দিচ্ছেন। নির্বাচন যদি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয় তাহলে ধানের শীষ জয়ী হবে।’