টাঙ্গাইল-৭ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নিয়ে ধূম্রজাল

জহিরুল ইসলাম
জহিরুল ইসলাম

টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. জহিরুল ইসলামকে নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। তবে উপজেলা জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভায় গত রোববার দলের নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন।

এদিকে দলের বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত না পাওয়াতে জহিরুল ইসলাম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াননি। এতে দলের নেতা-কর্মীরা কোন প্রার্থীর হয়ে কাজ করবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জহিরুল ইসলাম ২৭ হাজার ৯৪২ ভোট পেয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে মির্জাপুর উপজেলার ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ১২ জন। নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী সাংসদ নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের মো. একাব্বর হোসেন।

এবারের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মির্জাপুরে মো. জহিরুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয়। তাঁর জন্য দলীয় প্রতীক লাঙ্গল বরাদ্দও হয়। কিন্তু শুরু থেকেই এলাকায় তাঁর কোনো প্রচারণা দেখা যায়নি। দলীয় নেতা-কর্মীরাও ছিলেন অনেকটা নিশ্চুপ। এরই মধ্যে গত রোববার মির্জাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উপজেলা জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভা হয়। দলীয় প্রার্থীর কোনো প্রচারণা না থাকায় সভায় মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. একাব্বর হোসেনের পক্ষে কাজ করার জন্য নেতা-কর্মীরা সিদ্ধান্ত নেন। এ ছাড়া নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য নেতা-কর্মীরা দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকবেন বলে অনেকে জানান।

বর্ধিত সভায় জহিরুল ইসলাম ছাড়াও মহাজোটের শরিক দল আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থবিষয়ক সম্পাদক ওয়ার্শী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ হেল শাফি ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শামীম আল মামুন বক্তৃতা করেন। তাঁদের ছাড়াও সভায় অন্যদের মধ্যে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু আহমেদ, সহসভাপতি সিবার উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি সাঈদ আনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সভায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা আর মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার দ্বৈত নীতির কারণে উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের মধ্যে দ্বিধা কাজ করছে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মুঠোফোনে আবুল কাশেম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আসলেই কিছুটা সমস্যা রয়েছে। তবে দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত না পেলেও উপজেলা জাতীয় পার্টির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাঁরা মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. একাব্বর হোসেনের পক্ষে নৌকা প্রতীকের প্রচারণা চালাবেন।’ তবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জহিরুল ইসলাম কোনো মন্তব্য করেননি।