গ্রেপ্তারের দুই দিন পর আদালতে সিএসএফ কমান্ডার

নাশকতার একটি মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয় সিএসএফের কমান্ডার তৌহিদুল ইসলামকে। সিএমএম আদালত, ২৯ ডিসেম্বর। ছবি: দীপু মালাকার
নাশকতার একটি মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয় সিএসএফের কমান্ডার তৌহিদুল ইসলামকে। সিএমএম আদালত, ২৯ ডিসেম্বর। ছবি: দীপু মালাকার

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর (সিএসএফ) কমান্ডার কর্নেল (অব.) তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। গ্রেপ্তারের দুই দিনের মাথায় আজ শনিবার বিকেলে তাঁকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করে পুলিশ।

এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে আটক করে পুলিশ। পরে শাহবাগ থানার নাশকতার পুরোনো একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আজ বিকেলে পুলিশ তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে সিএমএম আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। পরে বিচারক এই আবেদন না মঞ্জুর করে তাঁকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

তৌহিদুলের আইনজীবী মো. বোরহান উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, শাহবাগ থানায় হওয়া গত ২০ ফেব্রুয়ারির একটি নাশকতার মামলায় তাঁকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আটক করেছিল পুলিশ। অথচ ওই মামলার এজাহারে তাঁর নাম ছিল না। অন্য কোনো আসামিও তাঁর নাম বলেননি। সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হয়রানি করার জন্য ১১ মাসের পুরোনো মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

আদালত চত্বরে তৌহিদুল প্রথম আলোকে বলেন, তিনি সিএসএফের কমান্ডারের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তারপরও তাঁকে বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়।