সাতকানিয়ায় হামলায় কেন্দ্র স্থগিত, যুবলীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ

চট্টগ্রাম-১৫ আসনে হামলা ও গুলিবর্ষণের জেরে একটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য, জামায়াত কর্মীদের গুলিতে আওয়ামী লীগের আটজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।

আজ রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

ভোট শুরু হওয়ার ৪৫ মিনিট পর সকাল পৌনে নয়টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনায় ওই কেন্দ্র স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনের পরিচয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁরা হলেন ফরিদুল আলম (৪০), সালেহ আহমদ (৭০), হাসান মুরাদ (২৬), মিজানুর রহমান (২৫), মো. মুরাদ (২২), তারেক (২২), মো. মিনহাজ (২২। এর মধ্যে যুবলীগ নেতা ফরিদুল আলমের মাথায় গুলি লেগেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল কবির জানান, সকাল থেকে সুষ্ঠুভাবে ভোট নেওয়া শুরু হয়। পৌনে নয়টার দিকে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এর কিছুক্ষণ পর জামায়াতের অন্তত তিন–চার শ লোক সংগঠিত হয়ে কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর হামলা চালায়, গুলি ছোড়ে। ওই সময় সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তাঁর দাবি, জামায়াতের গুলিতে আওয়ামী লীগের আটজন আহত হন। গুলিবিদ্ধ একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী ও ধানের শীষ প্রতীকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর আ ন ম শামসুল ইসলামের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে।