ভোট দিতে গিয়ে মারধরের শিকার ছাত্রদল নেতা

ভোট দিতে এসে মারধরের শিকার ছাত্রদল নেতা
ভোট দিতে এসে মারধরের শিকার ছাত্রদল নেতা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়ে আহত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক কেন্দ্রীয় নেতা। আজ রোববার সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার মুহূর্তে তিনি মারধরের শিকার হন। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এই মারধরের জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করা হয়েছে।

মারধরে আহত ওই ছাত্রদল নেতার নাম মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া। তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সাবেক এই ছাত্র ঢাকা-৮ আসনভুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকার ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। আহত মিনহাজ রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রদল কর্মী মেহেদী হাসান প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, ‘আজ সকালে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল কেন্দ্রে মিনহাজ ভাই ভোট দিতে যান। তাঁর সঙ্গে আমিও গিয়েছিলাম। ভোট শুরু হচ্ছে, এমন সময় ছাত্রলীগের বিভিন্ন হলের একদল নেতা-কর্মী মিনহাজ ভাইকে এসে জিজ্ঞেস করে, আপনি কে? মিনহাজ ভাই তাঁর সাংগঠনিক পরিচয় দিলে তাঁকে মেরে রক্তাক্ত করেন ছাত্রলীগের ওই নেতা-কর্মীরা। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মারধরের প্রশ্নই আসে না। আমরা যেটা শুনেছি, সেটা হচ্ছে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থী ও মির্জা আব্বাসের কর্মীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগের শিক্ষার্থীরা টিএসসিতে ও মধুর ক্যানটিনে অবস্থান করছিল। ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে তখন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছিল না।’

পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৮। আজ সকাল থেকে একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগে থেকেই কেন্দ্রগুলোর বাইরে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তবে এই এলাকায় বিএনপি বা এর ছাত্রসংগঠনের কোনো অবস্থান বা তৎপরতা চোখে পড়েনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে তিনটি, উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একটি, সায়েন্স অ্যানেক্সে একটি এবং কার্জন হলে তিনটি কেন্দ্র রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বড় অংশটিই মহানগর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। শুধু কার্জন হলের তিনটি কেন্দ্র ২০ নম্বর ওয়ার্ডে পড়েছে।

ক্যাম্পাসের কেন্দ্রগুলো থেকে ধানের শীষের প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শাহবাগ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মিন্টু অভিযোগ করে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকাসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকার কেন্দ্র থেকে আমাদের ৪৭ জন পোলিং এজেন্টকে হুমকি-ধমকি দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে ঢাকা-৮ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।