শঙ্কার তুলনায় সহিংসতা কম হয়েছে: আ.লীগ

আবদুর রহমান
আবদুর রহমান

যে পরিমাণ সহিংসতার আশঙ্কা ছিল সেই তুলনায় সহিংসতা হয়নি বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। আজ রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।

আবদুর রহমান বলেন, নির্বাচন ভন্ডুল করার বড় ধরনের পরিকল্পনা ছিল বিএনপি-জামায়াতের। সেই হারে সহিংসতা কম হয়েছে। যে আক্রমণের ছক তারা করেছিল সে অনুসারে তারা আক্রমণ করতে পারেনি। এ কারণে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।

৪৭ বছরে এমন নির্বাচন দেখেনি—ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের এমন মন্তব্যের জবাবে ব্রিফিংয়ে আবদুর রহমান বলেন, ‘এটা তিনি মিথ্যে বলেননি। ওনার জীবনে তিনি একবার নির্বাচন করে বিনা ভোট নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ কারণে এমন নির্বাচন তাঁর না দেখারই কথা। আমি তাদের প্রতি আহ্বান করব জনগণ যে রায় দিয়েছে সেই রায় মেনে নেওয়ার।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বিএনপি সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা দল। এই সিদ্ধান্তহীনতার কারণেই তাদের দল ডুবে গেছে। এরই কারণে অনেকে বিক্ষিপ্তভাবে নির্বাচন বর্জনের কথা বলছে। এমন দলের কাছে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না বলে তিনি মনে করেন।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, এই নির্বাচন আওয়ামী লীগের প্রত্যাশা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। যদিও কিছু কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত সহিংসতা হয়েছে। এসব সহিংসতায় আক্রান্ত হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। বিএনপি-জামায়াতের আক্রমণে ১২ জেলায় তাদের দলের ১৩ নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া তিনি বলেন, আজকের সহিংসতায় বিএনপি-জামায়াতের আক্রমণে দুই আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন।এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সমবেদনা প্রকাশ করা হয়।

ব্রিফিংয়ের একপর্যায়ে আবদুর রহমান বলেন, নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত নেতা-কর্মীদের ত্যাগের পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাঁড়াবেন।

আবদুল রহমান বলেন, এইবারের নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা তুলনামূলক কম ঘটেছে। ১২টি নির্বাচনী এলাকার ১৬টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হয়েছে। তবে এই ভোট যথেষ্ট অংশগ্রহণমূলক ছিল। অনেক কেন্দ্রে দেখা গেছে মা তার ছোট শিশু সন্তানকে নিয়ে ভোট দিতে গেছেন। বিএনপি-জামায়াত ও ঐক্যফ্রন্টের সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে গর্ভবর্তী নারী, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীসহ সবাই ভোট দিয়েছেন।

এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। এটি স্বাধীন সার্বভৌম নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে করা সম্ভব হয়েছে। আর এর কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। ফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের কেন্দ্রে থাকার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ফল ঘোষণার পর সবাই কেন্দ্র থেকে যাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, ‘গণমাধ্যম ও বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা যে তথ্য পেয়েছি, তাতে নিশ্চিত বলা যায় আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট নির্বাচনে জয়লাভ করবে। তবুও আমরা চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করব। ফল পেলে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এই বারের নির্বাচনের ফল যদি আওয়ামী লীগের পক্ষে আসে তবে সেটি বাংলাদেশের জনগণকে উৎসর্গ করা হবে।