সবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই ৫ বছর দায়িত্ব পালন করবেন শেখ হাসিনা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন, ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর। ছবি: পিআইডি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন, ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর। ছবি: পিআইডি

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধীদের বিভ্রান্তি ও ভুল গতকাল রোববারের নির্বাচনে তাদের ভরাডুবির জন্য দায়ী। শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই আগামী পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন।

আজ সোমবার বিকেলে গণভবনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। গতকাল রোববারের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি একটি প্রশংসাযোগ্য এবং স্বচ্ছ নির্বাচন ছিল। কিন্তু বিএনপির নিজস্ব ভুল ও দুর্বলতার কারণেই তাদের ভরাডুবি হয়েছে।’

বিএনপির নেতৃত্বশূন্যতার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, এটাই ছিল তাদের প্রধানতম দুর্বল দিক। কারণ তাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একটি দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপাসন পলাতক তারেক রহমানও বিদেশে অবস্থান করছেন। ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে ২৪ জনকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণ জানেই না বিরোধী দলের নেতা কে, যদিও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বিরোধী ঐক্য জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দিয়েছেন, যাদের মূল শরিক বিএনপি। তা ছাড়া তারা প্রতিটি আসনে টাকার বিনিময়ে চার থেকে পাঁচজন প্রার্থী দিয়েছে। যে কারণে দলের আসল প্রার্থী নিয়ে জনগণের মধ্যে সন্দেহ দেখা দেয় এবং তাদের অধিকাংশ প্রার্থীই জনগণের কাছে ছিল অপরিচিত।’

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই আগামী পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন। গণভবন, ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর। ছবি: পিআইডি
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই আগামী পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন। গণভবন, ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর। ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের বিজয়ের আরেকটি প্রধান কারণ ছিল গত ১০ বছরে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন। দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনা এবং জনগণের জীবন-মানের উন্নয়ন এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করা। তিনি বলেন, ‘তারা (জনগণ) সরকারের ধারাবাহিকতা চেয়েছিল, উন্নয়ন চেয়েছিল, যে কারণে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই আমাদেরকে ভোট প্রদান করেছে।’ তবে ‘আমি সবারই প্রধানমন্ত্রী’, যোগ করেন শেখ হাসিনা।