ভোটের ব্যবধানে জয়ের নতুন রেকর্ড আ.লীগের

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহের ১১টি আসনের মধ্যে ৯টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে ভোটের ব্যবধানে জয়ের নতুন রেকর্ড করেছে আওয়ামী লীগ।

গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনে ২ লাখ ৩০ হাজার ২৮৫ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জুয়েল আরেং। জুয়েল আরেং পেয়েছেন ২ লাখ ৫৮ হাজার ৯২৩ ভোট। আর বিএনপির প্রার্থী আফজাল এইচ খান পেয়েছেন ২৮ হাজার ৬৩৮ ভোট। এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রমোদ মানকিন পান ১ লাখ ৪২ হাজার ৯৮১ ভোট। বিএনপির আফজাল এইচ খান পান ৯১ হাজার ৩৪৫ ভোট।

ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে ২ লাখ ২৯হাজার ২৩৯ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শরীফ আহমেদ। শরীফ আহমেদ পেয়েছেন ২ লাখ ৯১ হাজার ৪৭২ ভোট। বিএনপির প্রার্থী শাহ শহীদ সারোয়ার পেয়েছেন ৬২ হাজার ২৩৩ ভোট। এই আসনে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হায়েতুর রহমান খান পান ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৩৩ ভোট। ওই নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী¦প্রার্থী হিসেবে শাহ শহীদ সারোয়ার পেয়েছিলেন ৯৪ হাজার ৯০ ভোট। ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৭৮১ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজিম উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩০০ ভোট। বিএনপির প্রার্থী এম ইকবাল হোসেইন পেয়েছেন ২৪ হাজার ৫১৯ ভোট। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রয়াত মজিবুর রহমান ফকির পেয়েছিলেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ২৮০ ভোট। বিএনপির প্রার্থী এম ইকবাল হোসেইন পেয়েছিলেন ৭৬ হাজার ৫১৭ ভোট।

ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে ২ লাখ ১০ হাজার ৩৩৩ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী কে এম খালিদ পেয়েছেন ২ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৬ ভোট। বিএনপির প্রার্থী জাকির হোসেন পেয়েছেন ২২ হাজার ২০৩ ভোট। এ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মুখোমুখি নির্বাচন হয়েছিল ২০০৮ সালে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কে এম খালিদ ১ লাখ ২১ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপির প্রার্থী জাকির হোসনে পেয়েছিলেন ৮১ হাজার ২০৫ ভোট।

ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনেও একাদশ নির্বাচনে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির। এ আসনে ২ লাখ ৮ হাজার ২৫৩ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোসলেম উদ্দিন পেয়েছেন ২ লাখ ৪০ হাজার ৫৮৫ ভোট। আর বিএনপির প্রার্থী শামছ উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৩২ হাজার ৩৩২ ভোট। এ আসনে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মুখোমুখি হয়েছিলেন এই দুই প্রার্থী। সেবার মোসলেম উদ্দিন ১ লাখ ২৭ হাজার ৬২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। প্রতিদ্বন্দ্বী শামছ উদ্দিন আহমেদ পেয়েছিলেন ৮১ হাজার ৮৫০ ভোট।

ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩২৬ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী রুহুল আমিন মাদানী পেয়েছেন ২ লাখ ৪ হাজার ৭৩৪ ভোট। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী মাহবুবুর রহমান পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৪০৮ ভোট। এ আসনে নবম নির্বাচনে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রেজা আলী ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মাহবুবুর রহমান পান ৫৮ হাজার ৪০ ভোট। ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসেন ২ লাখ ৬ হাজার ১৯০ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের আনোয়ারুল আবেদীন খান পেয়েছেন ২ লাখ ২৭ হাজার ৪৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির খুররম খান চৌধুরী পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৫৮ ভোট।

ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনেও একাদশ নির্বাচনে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী। এ আসনে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৪২২ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজিদ উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ২৪৮ ভোট। বিএনপির ফকরউদ্দিন আহমেদ পান ২৬ হাজার ৮২৬ ভোট। এ আসনে ২০০৮ সালে নবম নির্বাচনে দুই দল মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। নবম নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমান উল্লাহ ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পান ৬৩ হাজার ৩৭৬ ভোট।

এ ছাড়া ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আওয়ামী লীগের সাংসদ ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল ২ লাখ ৮১ হাজার ২৩০ ভোট পেয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। এ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ১৭৫ ভোট।