'মধু বাহিনী'র প্রধানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন

মানবতাবিরোধী অপরাধ
মানবতাবিরোধী অপরাধ

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের মো. মধু মিয়া তালুকদার ওরফে মো. মধু মিয়াসহ (৬৬) দুজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করেছে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য নিযুক্ত তদন্তসংস্থা।

মধু মিয়া বানিয়াচং থানার মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপির সমর্থক। এখন তিনি কারাগারে। এই মামলার আরেক আসামি পলাতক থাকায় তাঁর নামপ্রকাশ করেনি তদন্তসংস্থা।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে স্থাপিত তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক এম এ হান্নান খান। তিনি জানান, এটি তদন্ত সংস্থার ৬৭তম তদন্ত প্রতিবেদন।

সংস্থার জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল প্রথম আলোকে বলেন, আসামি মধু মিয়ার বিরুদ্ধে একাত্তরে গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুটপাটসহ মোট ৫টি অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল থেকে তদন্ত শুরু হয়। এরপর গত বছরের ২৩ মে তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

মধু মিয়া এবং তার বংশের লোকজন মুসলিম লীগের সমর্থক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি বানিয়াচং থানার মুরাদপুর ইউনিয়নে শান্তি কমিটি ও ‘মধু বাহিনী’ নামে একটি রাজাকার দল গঠন করেন। তখন এই মধু ওই রাজাকার কমিটির প্রধান ছিলেন। দেশ স্বাধীন হলে তিনি পলাতক থাকেন। ১৯৭৬ সালে তিনি নিজ গ্রামে ফিরে এসে বিএনপিতে যোগদান করেন। ২০১৬ সালে বিএনপি থেকে বানিয়াচং থানাধীন মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। বর্তমানে তিনি এই ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি।