আমরা শপথ নিচ্ছি না: ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর । ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর । ফাইল ছবি

একাদশ জাতীয় সংসদে যোগ দিচ্ছে না বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শপথ তো পার হয়ে গেছে, শপথ নেব কোথায়? প্রত্যাখ্যান করলে আবার শপথ থাকে নাকি? আমরা শপথ নিচ্ছি না।’ তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনের নামে নিষ্ঠুর প্রতারণা ও প্রহসন করা হয়েছে। এ কারণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেওয়ার বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রার্থীদের প্রতিবাদ ও নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যানের চিঠি নিয়ে একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে যাবে। এ ছাড়া প্রত্যেক প্রার্থী তাঁর নিজ নিজ এলাকার নির্বাচনী পরিবেশ উল্লেখ করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করবেন।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মোহসিন মন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পায় আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসনে জয়লাভ করে। আওয়ামী লীগ একাই জিতেছে ২৫৭টি আসনে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় দলটি টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট পেয়েছে ৭টি আসন। বিএনপি এককভাবে পেয়েছে ৫টি। নির্বাচনে এককভাবে ২২টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয়েছে জাতীয় পার্টি।

আজ বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠানে শুরুতে শপথ নেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। পরে সংসদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। শপথ নেওয়ার সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা। এঁদের মধ্যে সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ প্রমুখ ছিলেন। পরে সাংসদেরা শপথের কাগজে সই করেন।

আওয়ামী লীগের সদস্যরা শপথ নেওয়ার পর জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, জাতীয় পার্টি-জেপির সদস্যরা শপথ নেন। এরপর জাতীয় পার্টির সদস্যরা শপথ নেন।