কৃষ্ণা কাবেরী হত্যায় একমাত্র আসামির মৃত্যুদণ্ড

কৃষ্ণা কাবেরী বিশ্বাস
কৃষ্ণা কাবেরী বিশ্বাস

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কলেজশিক্ষিকা কৃষ্ণা কাবেরী বিশ্বাস হত্যা মামলার একমাত্র আসামি কে এম জহিরুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে নিহত কৃষ্ণা কাবেরীর স্বামী এবং দুই মেয়েকে আঘাতের অভিযোগে আসামিকে পৃথক ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।

কৃষ্ণা আদাবরের মিশন ইন্টারন্যাশনাল কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। আর জহিরুল ইসলাম ব্রোকারেজ হাউজ হাজী আহমেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপক ছিলেন।

এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সরকারি কৌঁসুলি আবু আবদুল্লাহ ভূইয়া প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন জহিরুল। আপিল বিভাগ তাঁর জামিন বাতিল করার পর থেকে তিনি পলাতক। আদালত জানিয়েছেন, আসামি গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের তারিখ থেকে এ রায় কার্যকর হবে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ রাতে কৃষ্ণা কাবেরীর স্বামী সিতাংশু শেখর বিশ্বাসকে কেক ও ফুল নিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে তাঁর মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের বাসায় যান সিতাংশুর পূর্বপরিচিত কে এম জহিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। জহিরুল একপর্যায়ে সিতাংশু (৪৮), কৃষ্ণা কাবেরী (৩৫) ও দুই মেয়ে শ্রোভনা বিশ্বাস (১৫) ও অদ্বিতীয়া বিশ্বাসকে (৮) হাতুড়িপেটা করে বাসায় আগুন ধরিয়ে দেন। ওই ঘটনায় আহত ও অগ্নিদগ্ধ কৃষ্ণা কাবেরী পরে মারা যান।

নিহত কৃষ্ণা কাবেরীর স্বামী বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) উপপরিচালক সিতাংশু শেখর বিশ্বাস। তিনি এ ঘটনায় বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন।

২০১৬ সালের ৩০ মে জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্রে বলা হয়, সিতাংশু বিশ্বাস হাজী আহমেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজের মাধ্যমে বিও অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। সেখানে আট লাখ টাকা ছিল। শেয়ার ব্যবসার সূত্রেই জহিরুলের সঙ্গে সিতাংশুর পরিচয় হয়। সিতাংশুর শেয়ার আত্মসাৎ করার জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল আসামি জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় ২২জন সাক্ষী উপস্থাপন করেন।