লক্ষ্মীপুরে পুলিশ-যুবলীগ সংঘর্ষে মামলা, গ্রেপ্তার ৬

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে পুলিশের সঙ্গে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে সদর (পূর্ব) যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রূপম হাওলাদারসহ ৭৪জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। এঁদের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে আজ বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর সদর থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলিম বাদী হয়ে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানায় মামলা করেন। এতে রূপম হাওলাদারসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০-৬০জনকে আসামি করা হয়।

পুলিশ ও যুবলীগ সূত্র বলেছে, লাহারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমানকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি যুবলীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন গত মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি পান। গতকাল সকালে তিনি ধারালো অস্ত্র নিয়ে আবদুর রহমানের ওপর হামলা চালান। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা দেলোয়ারকে মারধর করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ আবদুর রহমান ও দেলোয়ারকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে আবদুর রহমানকে দেখতে হাসপাতালে যান জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন দেলোয়ারকে মারধর করেন। এতে বাধা দিতে গেলে তাঁরা পুলিশের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে চার পুলিশ সদস্যসহ অন্তত দশজন আহত হয়েছেন।

জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, ‘যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের ভুল বোঝাবুঝিতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে শহরের তমিজ মার্কেটে জেলা যুবলীগের কার্যালয় ঘেরাও করে পুলিশ। নেতা-কর্মীদের পিটিয়ে আহত করে। এখন উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।’

লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজনের ওপর হামলার চেষ্টা করে যুবলীগ নেতা-কর্মীরা। এ সময় বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ৬জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।