মন্ত্রিসভার সদস্যরা অভিজ্ঞতায় নবীন, বয়সে নন

>
  • মন্ত্রিসভার সদস্যদের গড় বয়স প্রায় ৬০ বছর
  • ৫০-এর কম বয়সী সদস্য আছেন ৯ জন
  • মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বয়োজ্যেষ্ঠ
  • কনিষ্ঠ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী

অভিজ্ঞতার বিচারে নতুন মন্ত্রিসভাকে নবীন বলা যেতেই পারে। বয়সের বিচারে এই মন্ত্রিসভাকে তরুণ বলার অবকাশ নেই। কারণ, এই মন্ত্রিসভার সদস্যদের গড় বয়স প্রায় ৬০ বছর। মন্ত্রিসভায় ৫০-এর কম বয়সী সদস্য আছেন ৯ জন।

গতকাল সোমবার শপথ নেওয়া নতুন মন্ত্রিসভায় নারী সদস্যসংখ্যা সদ্য বিদায়ী মন্ত্রিসভার তুলনায় কম।

প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করে দেখা গেছে, নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ হচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তাঁর বয়স এখন ৭৪ বছর। আর কনিষ্ঠ হচ্ছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তাঁর বয়স ৩৬ বছর।

নতুন মন্ত্রিসভায় ২৪ জন আছেন পূর্ণ মন্ত্রী। তাঁদের গড় বয়স প্রায় ৬৪ বছর। পূর্ণ মন্ত্রীদের মধ্যে কনিষ্ঠ হচ্ছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তাঁর বয়স ৪৯ বছর।

১৯ জন প্রতিমন্ত্রীর বয়সের গড় প্রায় ৫৬ দশমিক ৫ বছর। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ হচ্ছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদ। তাঁর বয়স ৭০ বছর। প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী হচ্ছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত জুনাইদ আহ্মেদ পলক। তাঁর বয়স ৩৮ বছর। তিনি এর আগের মন্ত্রিসভারও কনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন।

মন্ত্রিসভার তিনজন উপমন্ত্রীর বয়সের গড় ৫০ বছর। এই তিনজনের মধ্যে জ্যেষ্ঠতম হচ্ছেন বেগম হাবিবুন নাহার। তিনি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। উপমন্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়স মহিবুল হাসানের, ৩৬ বছর। মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে সাতজনের বয়স ৭০ বছরের বেশি। আর বয়স ৬৫ থেকে ৭০–এর মধ্য আছেন ১৩ জন। ৬০ থেকে ৬৫ বছরের ঘরে ৯ জনের বয়স। ৫৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্য আছেন পাঁচজন। ৫০ থেকে ৫৫ বছর বয়সের আছেন চারজন। ৪০ থেকে ৫০–এর ঘরে সাতজনের বয়স। ৪০–এর নিচে আছেন মাত্র দুজন।

নারী সদস্য
সদ্য বিদায়ী মন্ত্রিসভার তুলনায় বর্তমান মন্ত্রিসভায় নারীর সংখ্যা কম। আগের মন্ত্রিসভায় নারী সদস্য ছিলেন চারজন (প্রধানমন্ত্রী ছাড়া)। তাঁর হলেন মতিয়া চৌধুরী, ইসমাত আরা সাদেক, মেহের আফরোজ ও তারানা হালিম। অবশ্য তারানা হালিম শুরু থেকে ওই মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন না। তাঁকে পরে যুক্ত করা হয়েছিল।
নতুন মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া নারী সদস্য তিনজন। তাঁদের মধ্যে ডা. দীপু মনি পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। মন্নুজান সুফিয়ান প্রতিমন্ত্রী এবং বেগম হাবিবুন নাহারকে উপমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে।

সংখ্যালঘু সদস্য
সদ্য বিদায়ী মন্ত্রিসভার মতো নতুন মন্ত্রিসভায়ও সংখ্যালঘু সদস্য আছেন তিনজন। আগের মন্ত্রিসভায় নারায়ণ চন্দ্র চন্দ পূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন। আর বীর বাহাদুর উশৈসিং এবং বীরেন শিকদার ছিলেন প্রতিমন্ত্রী।
নতুন মন্ত্রিসভার তিনজন সংখ্যালঘু মন্ত্রীর মধ্যে দুজন পূর্ণ মন্ত্রী। তাঁরা হচ্ছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। অন্যজন স্বপন ভট্টাচার্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন।

টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী
সদ্য বিদায়ী মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী ছিলেন চারজন। তাঁরা হচ্ছেন ইয়াফেস ওসমান, মোস্তাফা জব্বার, নুরুল ইসলাম ও মতিউর রহমান। নতুন মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট সদস্য আছেন তিনজন। তাঁরা হচ্ছেন ইয়াফেস ওসমান, মোস্তাফা জব্বার ও শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।