কুল কুড়াতে গিয়ে অকূলে ভাসল দুই শিশু

বড় বোন নির্মাণাধীন ইটের দেয়ালের ওপর উঠে গাছের কুল পাড়ছিল। নিচে দাঁড়িয়ে ছিল ছোট বোন তিন বছরের লিজা। তার সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিল সমবয়সী আরেক শিশু মরিয়ম। হঠাৎ দেয়ালটি ভেঙে পড়ে। এতে চাপা পড়ে নিচে দাঁড়িয়ে থাকা দুই শিশু। ঘটনাস্থলেই মারা যায় লিজা। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় মরিয়ম।

গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মনোহরদিয়া ইউনিয়নের গঙ্গাবরকান্দি গ্রামে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। লিজা গ্রামের ইমারুল হকের মেয়ে আর মরিয়ম প্রতিবেশী মৃত মশিউর রহমানের মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সন্ধ্যার কিছু সময় আগে লিজা বড় বোনের সঙ্গে কুল বা বরইগাছতলায় যায়। এ সময় তাদের সঙ্গে মরিয়মও ছিল। বড় বোন বরইগাছসংলগ্ন প্রতিবেশী ফজলুর রহমানের নির্মাণাধীন ভবনের দেয়ালের ওপর ওঠে। ছয় থেকে থেকে ফুট উঁচু নির্মাণাধীন বাড়ির দেয়ালে বসেই সে গাছ থেকে বরই পাড়ছিল। এ সময় নিচে দাঁড়িয়ে লিজা ও মরিয়ম বরই কুড়াচ্ছিল। হঠাৎ করেই নির্মাণাধীন ভবনের দেয়ালটি ভেঙে লিজা ও মরিয়মের ওপর পড়ে। এতে চাপা পড়ে লিজা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মরিয়ম মারা যায়।

গঙ্গাবরকান্দি গ্রামের ইউপি সদস্য সেলিম রেজা প্রথম আলোকে বলেন, মরিয়মের বাবা মশিউর (৩০) চার মাস আগে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মশিউরের স্ত্রী শিল্পী খাতুন একমাত্র মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন। এবার মেয়েটাও চলে গেল। আজ মঙ্গলবার সকালে দুই শিশুকে দাফন করা হয়।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ বলেন, দুই পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।