প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সবার সহায়তা লাগবে: দীপু মনি

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া এমবিবিএস কোর্সের শিক্ষার্থীদের পরিচিতি সভা ছিল। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দীপু মনি। ছবি: প্রথম আলো
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া এমবিবিএস কোর্সের শিক্ষার্থীদের পরিচিতি সভা ছিল। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দীপু মনি। ছবি: প্রথম আলো

শিক্ষার্থী,শিক্ষক ও অভিভাবকদের সহায়তা পেলে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করা সম্ভব বলে মনে করছেন নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। গত দশ বছরে অনেক সাফল্য ও অর্জন রয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেখানে যেখানে নতুন চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং সামনের দিকে যেসব চ্যালেঞ্জ আসবে সেগুলো মোকাবিলায় সবার সহযোগিতা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া এমবিবিএস কোর্সের শিক্ষার্থীদের পরিচিতি সভা ছিল। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দীপু মনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

বিগত দিনে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া সম্পর্কে দীপু মনি বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে যারা অসদুপায় অবলম্বন করে তারা ফাঁকফোকর খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। আমাদের দায়িত্ব, এটি যাতে কোনোভাবেই বের না হয় এবং এ ক্ষেত্রে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বিরাট ভূমিকা রাখতে পারেন।’

যে কোনো মূল্যে প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করা এবং এ কাজে যারা অতীতে জড়িত ছিল এবং সামনে যদি চেষ্টা করে তাদের আইনের আওতায় যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

এমবিবিএস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করেন দীপু মনি। ছবি: প্রথম আলো
এমবিবিএস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করেন দীপু মনি। ছবি: প্রথম আলো

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করার পর তাদের উদ্দেশ্যে দীপু মনি বলেন, মেডিকেল কলেজের পড়াশোনা খুবই কষ্টের। এখানে পড়াশোনা করতে এসে মনে হবে, কেন এখানে পড়তে এলাম। কিন্তু এখান থেকে পাস করে বের হলে মনে হবে অনেক কিছুই অর্জন হয়েছে। সেবা প্রদানের তৃপ্তি ডাক্তার হয়ে সেবা প্রদান করার মধ্য দিয়ে পাওয়া যাবে। নতুন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি তোমাদের বলব ভালো ডাক্তার হওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। তার চাইতে বড় প্রয়োজন ভালো মানুষ হওয়া। ক্লাসের বাইরেও একটি জগৎ আছে, সেই সম্পর্কেও তোমাদের জানতে হবে। মনটাকে খোলা রাখতে হবে। শেখার কোনো শেষ নেই। সারা দিন শিখতে হবে, জানতে হবে। আমরা সবাই সবার জন্য। ভালো মানুষ হওয়াকে গুরুত্ব দিতে হবে। এটা হলে সবকিছুই সফলভাবে অর্জন করতে পারব।’

চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. জামাল সালেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সহসভাপতি জে আর ওয়াদুদ টিপু, জেলা বিএমএ এর সভাপতি সৈয়দ এম এন হুদা, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন নবী মাসুম।

চাঁদপুরে এই প্রথম চালু হওয়া মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের কোর্সে ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ক্লাস শুরু হলো। বর্তমানে আড়াই শ’ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ তলায় অস্থায়ী ক্যাম্পাসে এই ক্লাস চলবে।