ঐক্যফ্রন্টকে সংসদে এসে দাবি জানাতে বললেন কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

ঐক্যফ্রন্টের কোনো দাবি থাকলে তা সংসদে এসে বলার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ শুক্রবার দুপুরে গাজীপুরের চন্দ্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সেতুমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

গতকাল বৃহস্পতিবার ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘তথাকথিত’ আখ্যায়িত করে বলেন, সুস্থ মানসিকতার কেউ এসব করতে পারে না। জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে সংবিধান মেনে নির্বাচন করে সরকার গঠন করার আহ্বানও জানান তিনি।

আজ ড. কামালের নতুন করে নির্বাচনের দাবি উড়িয়ে দিয়ে কাদের বলেন, ‘এই নির্বাচনকে গণতান্ত্রিক দেশগুলো এমনকি পাকিস্তান পর্যন্ত স্বীকৃতি দিয়েছে। সকল গণতান্ত্রিক দেশই বাংলাদেশের নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়েছে, প্রশংসা করেছে। এমতাবস্থায় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলা ও সংলাপের আহ্বান করা হাস্যকর।’

মন্ত্রী কাদের বলেন, ‘নতুন বছরে নতুন সরকার। শেখ হাসিনা সরকারের যে অগ্রাধিকার- সে অগ্রাধিকার হচ্ছে সড়কে চলা পরিবহনে শৃঙ্খলা। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাটাই হলো অগ্রাধিকার। সে জন্য আমি ইতিমধ্যে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছি, সাত দিনের নোটিশ দিয়ে সড়ক-মহাসড়কের যে সকল রাস্তা অবৈধ দখলে আছে, সেগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করতে হবে।’

আগামী সাত দিনের মধ্যে সারা দেশের সড়ক-মহাসড়কের পাশে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, অবৈধ দখল ও অবৈধ পার্কিং এ দুটা বিষয়ে আমরা যদি সফল হতে পারি, তাহলে সড়কে পরিবহনে শৃঙ্খলা অনেকটাই ফিরে আসবে। সে কাজটি আমরা হাতে নিয়েছি। আগেও করেছি। মাঝখানে নির্বাচনের কারণে কাজটা গতি পায়নি। আমরা এখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ কাজটি করব।

সেতুমন্ত্রী বলেন, চন্দ্রা ও কোনাবাড়ি ফ্লাইওভারের কাজ প্রায় শেষ। আশা করছি মাস দু-একের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ফ্লাইওভার দুটি উদ্বোধর করবেন এবং যানবাহন চলাচলরে জন্য দুটি ফ্লাইওভার উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া গাজীপুর-এলেঙ্গা ফোর লেন প্রজেক্টের কাজ জুন মাসের মধ্যে শেষ হবে।

মহাসড়ক পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথের ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুদ্দিন, এ ডি সি জেনারেল দিদারে আলম মাকসুদ চৌধুরী এবং সড়ক ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।