ভূমি অফিসের সবাইকে সম্পদের হিসাব দিতে হবে: ভূমিমন্ত্রী

সাইফুজ্জামান চৌধুরী
সাইফুজ্জামান চৌধুরী

আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত সব কর্মকর্তা কর্মচারীকে সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে। আজ শনিবার চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এ মৌখিক ঘোষণা দেন। মন্ত্রণালয়ে গিয়ে তিনি এ বিষয়ে লিখিত পরিপত্র জারি করবেন বলে জানান।

চট্টগ্রামের প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ মতবিনিময় হয়। এতে প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সারা দেশের ভূমি অফিসগুলোতে স্বচ্ছতা আনতে সব ভূমি অফিস সিসিটিভির আওতায় আনা হবে। সেখানে ভয়েস রেকর্ডের ব্যবস্থা থাকবে। কে কী করছে, না করেছে—সেটা মন্ত্রী সচিবসহ নির্দিষ্ট পদস্থ কর্মকর্তারা মনিটরিং করবেন।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘সুশাসন নিশ্চিত করতে পারলে দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। ভূমি মন্ত্রণালয় নিয়ে আগে যে দুর্নাম ছিল তা অনেকটা কমে এসেছে। কারণ সচিব, অতিরিক্ত সচিব, উপসচিবসহ ভালো লোকদের দিয়ে আমরা মন্ত্রণালয় সাজিয়েছি। তারপরও কিছু সমস্যা আছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে তা গুছিয়ে নিতে পারব।’


ভূমিমন্ত্রী মনে করেন, ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে প্রচুর সমস্যা এখনো আছে। তাই সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। কেবল কে আসছেন বা যাচ্ছেন এ জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে না। সেখানে ভয়েস রেকর্ডিং থাকবে, যাতে মানুষ সেবা পায় এবং জনদুর্ভোগ কমে। আসলে পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে উন্নত পরিবর্তন আনতে হবে। দুর্নীতি বন্ধে জিরো টলারেন্স (শূন্য সহনশীলতা) নিয়ে কাজ করতে হবে।

দুর্নীতগ্রস্তদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এখনো আমাদের সমস্যা আছে। যাঁরা জড়িত তাঁদের সরে যাওয়া উচিত। তাঁর দুর্নীতি ও ব্যর্থতার দায়ভার আমি নিতে পারব না। আর যেদিন আমাকে দুর্নীতি স্পর্শ করবে সেটা যেন আমার শেষ দিন হয়।’

ভূমিমন্ত্রী বলেন, জবাবদিহি থাকতে হবে। দেশের নাগরিকের কাছে আমার জবাবদিহি থাকবে। আর প্রধানমন্ত্রীর কাছে তো আছেই। এ জন্য সবার সহযোগিতা ও দোয়া চান তিনি।

শিগগির বিভিন্ন ভূমি অফিসে ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’ (আকস্মিক পরিদর্শন) শুরু করবেন জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল, কর্ণফুলী টানেল, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন, অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ সব বড় প্রকল্পের ভূমি ছাড়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। কর্ণফুলীর দুই পাড়ের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।