বিএনপিকে জামায়াত ছাড়তে 'বলা যেতে পারে': ড. কামাল

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন

বিএনপিকে জামায়াত ছাড়তে বলা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। রাজধানীর আরামবাগে আজ শনিবার বিকেলে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সভা শেষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শনিবার গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের পর দলটির পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের একটি লিখিত বক্তব্য দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়েছে, ‘তাড়াতাড়ি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃত যেসব ভুল-ত্রুটি সংঘটিত হয়েছে, তা সংশোধন করে ভবিষ্যতের জন্য সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’ এই বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা অতীতে জামায়াতকে নিয়ে রাজনীতির চিন্তাও করিনি। ভবিষ্যতেও পরিষ্কার যে, জামায়াতকে নিয়ে রাজনীতি করব না।’ বিএনপিকে জামায়াত ছাড়তে বলবেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি বলা যেতে পারে।’

এ সময় পাশ থেকে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই বিএনপির মহাসচিবকে বলেছি। তাঁরা বলেছে, জামায়াত ধানের শীষে নির্বাচন করেছে, ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে তো নাই। তারপরও আমরা বিষয়টির সুরাহা চাই।’

কামাল হোসেন আরও বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে অতীতে যেটা হয়েছে, সেটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। তাঁরা যে ধানের শীষে জামায়াতের ২২ জনকে মনোনয়ন দেবে, সেটি আমরা জানতাম না।’ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারি দল ছাড়া আর কেউ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, সেটা বলছে না। চাইলেও বলা সম্ভব না। এ সময় দেশের স্বার্থে আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান ড. কামাল।

লিখিত বক্তব্যে গণফোরাম জানিয়েছে, আগামী ২৩ ও ২৪ মার্চ ঢাকায় দলটির জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়েছে, শনিবারের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় গণফোরামের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা অনতিবিলম্বে জেলায় জেলায় সাংগঠনিক সফর শুরু করবেন এবং ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে’ জোরদার করা হবে।

৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের কয়েক দিন আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. কামাল হোসেন বলেছিলেন, জামায়াতে ইসলামী বিএনপির টিকিট পাবে জানলে তিনি ঐক্যফ্রন্টের অংশ হতেন না। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর প্রকাশিত এই সাক্ষাৎকারে কামাল হোসেন বলেছিলেন, ‘আমি যদি আগে জানতাম (যে জামায়াত নেতারা বিএনপির টিকিট পাবে), তবে আমি এর অংশ হতাম না। কিন্তু যদি এই ব্যক্তিগুলো ভবিষ্যতের সরকারে কোনো ধরনের ভূমিকা পালন করে, আমি একদিনও থাকব না।’